উঠিয়া দেখ পাহাড়-চূড়,
চারিদিকে উঁচু-নিচু শৃঙ্গ-খাদ, আকাশ ভূ’তে নামিয়াছে বহুদূর;
পাদদেশের সমতলে বুঝিবে কিসে? চোখে-যে লাগিয়াছে ঘোর।
বেষ্টিত সীমানায় দৃষ্টি আবদ্ধ তথা
ক্ষীণ-চেতনায় অবোধ্য জ্ঞানীর কথা।
আপনারে বিশদ জ্ঞানী ভাবিয়া, ভ্রান্ত-ধারনায় যত করিয়াছ গরিমা;
শিখরে উঠিবে যত, দেখিবে দূর-দিগন্ত রেখা, তত বেশী সীমা।


উঠিয়া দেখ পাহাড়-চূড়,
মুক্ত হাওয়ায় মেঘ ভাসমান, পাহাড়ে-পাহাড় বাঁধিয়াছে বাহুডোর।
মিতালি পাতিয়া নিরদ-মালা কণ্ঠে পরিয়া তুলিয়াছে একই সুর।
পর্বত-প্রমাণ উদারতায় বাজেরে বীণা
সংকীর্ণ চিত্তক্ষোভে ছোটরে করে ঘৃণা।
মুক্ত আকাশের নাগালে নিজেরে মেলে ধর, হস্ত দু’টি করিয়া প্রসার
অন্ত:করণ জ্বলিয়া উঠিবে উদারচিত্তে, কৃষ্ণতা কার্যত হইবে অসাড়।


উঠিয়া দেখ পাহাড়-চূড়,
কৃষ্ণগহ্বরে ডুবেছিলে তুমি, কালিমা কেটে উদিত সূর্যে হইবে ভোর।
আলোয়-আলোয় ভরে যাবে হৃদ, আসিবে ছন্দ গাঁথিবে নতুন সুর।