ম-আ-মা-গো মা-
তোমার চরণ পেলাম না-
তুমি বলেছিলে বাছারে
তুই যাস নে আমায় একা ফেলে-
বারণ শুনলাম না-
ম-আ-মা-গো মা।
আজ অনেকদিন হলো দেখি না-
কোথায় আছ? কেমন আছ?
শরীরটা খারাপ নয় তো-
ওষুধের শিশিটা কে এগিয়ে দেয়?
এখনও কি লাঠি ভর দিয়ে হাঁটো
নাকি বিছানায় শুয়ে দিন কাটো?
কিচ্ছু জানি না, কেউ কিচ্ছু জানায় না-
ম-আ-মা-গো মা।
প্রবাসে পড়ে আছি,
প্রবাস মানেই পর বাস
মান সম্মান্নের ছিটে ফোঁটা
নেই এখানে, মানুষ বলেও মনে করে না কেউ -
মনে করে যন্ত্র চালিত রোবট।
শেষ ফোনেও কথা বলতে চেয়েছিলাম-
ভাঙ্গা গলায় বললো গোসল করতে গেছে-
ঠিকই বলেছিলো শেষ গোসল
বড়ই পাতার গরম জলে-
বলেছিলেম বাবু সোনা মাকে দে না-
দেয় নি, কিভাবে দেবে, তুমি তো ছিলে না?
ম-আ-মা-গো মা।
প্রবাস ছেড়ে বাড়িতে এলুম
দেখলুম নেই, শূন্য খাট-
দেয়ালে টানানো ছবিটা দেখে
অঝোর ধারায় কেঁদে ফেললুম-
এক্কেবারে বোকা ছেলের মত;
এক মুঠো মাটি এনেছি কবর থেকে-
মাগো আমার কবরে দেবার জন্য-
এক মুঠো মাটিতেই যদি হতে পারি ধন্য;
শুধু মা----গো তোমার জন্য।
মা-মা-গো মা, জানি না
তু-মি কো-থা-য়, কে-ম-ন আছো?
স্বপ্নে এসে নিয়ে যাও,
মৃত্যুকে ভয় করি না
ম----আ---- মা----গো মা।