নৈশ ভ্রমনে নাকি গিয়েছিলে সেদিন রাতে
বাঁশের মাচা বাঁধা বিলের পাড়টায় তুমি
দৈব চয়নে নাকি আমাকে নিয়েছিলে খুঁজে;
পেঁচারাও ছিল না ছিলাম আমি একা,হাতে
কবিতার খসড়া, খসখসে কাগজে লিখে
নিয়েছিলাম আমি তোমার কুন্তল থেকে-
খসে পড়া কবিতা-কয়েকটা গন্ধ আজও
সুরভী ছড়ায় যে শিমুল গাছটার কাছে।
বাঁশের মাচাটায় আজও কেউ বসে, তুমি
নেই আমিও নেই, তবু কেউ তো দেখে? খড়
মুখে ঘর মুখে যে শালিক উড়ে যায় ঐ
বাতাবি লেবুর যে বাগানটার কাছে,তুমি
আর আমি দেখেছি কত রাতে বিভোর আলো
উড়ে এসে বসত খই ফোঁটা জোৎস্না তাঁর
টিকরে পড়া নাকে ভ্রু-যুগল ছিল ভেজা;
ঘামে ভরা মুখের সে প্রচ্ছদ ছবি আজও
ফুটে ওঠে সুপারি গাছের সারি থেকে, আজও
নারকেল পাতায় ঝিরি ঝিরি বাতাস এসে
কাঁপিয়ে দেয় এই পান্ডুলিপি পাতা,আজও
অনুরণন ওঠে, দ্বাদশী চাঁদ ওঠে, আজও
আমার আঙিনায় ছায়া ফেলে তোমার মুখ;