ব্যাঙ ভাই, ব্যাঙ ভাই
কোথায় তোমার বাড়ি?
গাল ফুলিয়ে ডাকছো তুমি
দেখছি মজার ভারি!
সত্যিই তুমি ব্যাঙের মতো
নামছে গালে ভুরি
তোমার ভুরি
দেখে আমার
লাগছে যে সুড়সুড়ি!!!
ইচ্ছে আমার সময় পেলে
দেখতে যাবো তোমার দেশের
কুয়োয় ডোবায় পুকুর ঘাটে
কেমনে কাটে কেমন মজার
মজার ব্যাঙের পুরী!
তবু বলি ধন্যিই তুমি
মজার তুমি বেজায় কঠিন
তোমার কারিকুরি!!!!
কথা দিলাম না পারিলে
এবার আমি সামনে বছর
নোবেল তোমায়
দেবোই দেবো
নইলে মেডেল
আমিই গিয়ে
পায়ে হেটে
মিথ্যাতো নয়
বলছি তোমায় দিব্যি কেটে
ঠিকই জেনো নিজেই গিয়ে
পৌঁছে দেবো
তোমার আপন বাড়ি!!!
তবু তুমি হার মেনো না
হাল ছেড়ো না
পাল খুলো না
নৌকো ভাসাও
সাগর মাঝে
নতুন করে নতুন সাজে
মাঝে মাঝে আমায় এসে
খোঁচা দিও মন্দ তো নয়
ভালোই লাগে!!
তুমিও যেমন
আমিও তেমন
চলুক তবে যুদ্ধ শুরু...
শুনছি এবার বাংলাদেশে
একটি মশাও থাকবে না রে
জেগেছে ব্যাঙ পথে ঘাটে
শুনলে কি ভাই?
চিন্তাতো তো নাই!
যোগ দিয়েছে কিছু কিছু  
গাপ্পি মাছেও
গোপাল ভাঁড়েও
কয় কথা কয়
সুদূর বিলেতবর্ষ থেকে
আমদানি হয়!
করবে সাবাড়!
ডেঙ্গু এবার থাকবে নাকো!
যাবেই যাবে
গিলেই খাবে
সিংহ বাঘে এক হয়েছে!
ভাঙবে আকাশ খুঁড়বে পাতাল
উঠছে মাতাল বোশেখ গেলো
জ্যৈষ্ঠ গেছে বর্ষা এলো
ঘুমে ছিলাম স্বপ্ন ঘোরে
ঘুম ভাঙালো জোরে শোরে
সব কটা ব্যাঙ ছুঁড়ছে যে ল্যাঙ
শুধুই দেখি আকাশ পানে
মেঘ থেকে ঐ প্রতিধ্বনি
ফিরতে পারে বজ্রসহ
ঠিক বোঝনি!
কখন কোথায়
সত্য দিলে হাতটা দিলে
গরম হবে খোদার আরশ
উঠতে পারে কেঁপে কেঁপে!
মস্করা তো চলে না রে
সবার সাথে হুশ কি হবে?
মরার পরে দেখবি তখন
কে বানালো মশাগুলো
খেলে তবু খোদার সাথেই
তর্ক করো শূণ্যে থেকেই
এসেছে সব চাপা মারো?!
শূণ্যে কি আর শূণ্যে শুধু
গণিত পড়ো? অলিম্পিয়াড
ভালোই করো? ভালোই পারো!
ডারউইনের সুত্র ধরো
নিজের গালেই
নিজেই মারো চড়টা দেখো
কোথায় পড়ে!শুনছে সবাই
হাত তালি দেয় বেজায় খুশি
আছার খেয়ে আচার নিয়ে
নতুন নতুন আষাঢ় এলো
নামবে আষার
ডাকতে থাকো ঘোমটা খুলে
করো নোঙর!
যতো আছো সব কটা ব্যাঙ
মজাই লাগে কেমন মধুর!
ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর......!!!


(যারা শুধু মাত্র কারো কোন বিশ্বাস বা অনুভূতিকে সরাসরি কোন ব্যাক্তিকে উদ্দেশ্য করে ব্যঙ্গ কবিতা লিখে যান তারা সংযত হবেন এবং কবিতার পাতার
ভালো পরিবেশ আবার ফিরিয়ে আনবেন এমনকি আমি নিজেও তা না হলে ব্যঙ্গোর বদলে ব্যঙ্গোর বিদ্রোহ চলবে..)