পূর্ণ বলয় গ্রাস শেষে  
চেয়ে দেখো আজকের আকাশটা কত ঝকঝকে!
সুন্দর মোলায়েম তকতকে থকথকে ঘন নীল ঐ
হাসছে প্রজাপতির উড়ে যাওয়া ডানা
তোমার জানালাটা খোলা...
তোমার দরজায় দাঁড়ানো যে কবিতার চিঠি হাতে
কতদিন বিমর্ষ বসে ছিলো সেও হাসছে আজ!
কেমন হেসে বলছে তোমায় তোমারও কি কষ্ট হয়?
আমাদেরও হৃদয় ছিলো আঘাত ছিলো কষ্ট ছিলো
মুখ চেঁপে কতদিন বুক চেপে চোখ নিচু করে ফিরে
এসে সারারাত কাটিয়েছে চুপটি করে হাঁটু গেড়ে
পড়ে থাকা রাত্রির পাশে;
পাশ ফেরেনি একবারও শব্দ করেনি হিসসস অন্ধকার
ঘুমিয়েছিলো স্থির!জ্যোৎস্নারা আকাশ থেকে নামতে নামতে
হঠাৎ হারিয়েছিলো পথ
তোমার টেবিলের কাছে এক জোঁনাক পোকা তীব্র আলোয় অন্ধ হয়ে
মাথাকুটে ছিলো যার ডাকে সারা দিতে পারেনি প্রেমিকার ঝলসানো চোখ
তোমার কলমে শান্তিরা ঝুলে ঝুলে অস্থির উপুর হয়ে ছিলো আজ স্বাধীন
তোমার শব্দ সুগন্ধীতে আমাদের নিয়ে চলো সেই নিসর্গের পাড়ে যেখানে
শুভ্র কবিতার পদতলে বইছে নির্মল ঝর্ণার নহর মরুর পিপাসা যাক কেটে…..
তোমার হাত ধরে হাটতে শিখেছিলো যে কবিতার শিশুরা দ্যাখো
তারাও মমতার স্পর্শে বুঝে গেছে পৃথিবীতে নিরাপদ বুক একটি
কেবল একটি বুকের স্পন্দনই থামিয়ে দেয় সহস্র না পাওয়ার ভয়
কান্না থামিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে আজ নীরব একটু পরেই জাগবে
হাসবে খেলবে তাদের ভয় দেখাতে নেই ধমক দিতে নেই তাদের
আদর দিয়ে ভুলের আগুন কয়লা থেকে সরিয়ে নাও ওদের
মনে আগুনের বিশ্বাস গড়ে তোলো হাত পুড়ে পুড়ে সদা শেখাতে নেই!!