কবিতা আমার ফিরিয়ে দাও
যাকে তোমাদের কাছে
গচ্ছিত রেখে এসে
ঘুরতে বেরিয়ে ছিলাম একটু
অপটু পায়ে এদিক সেদিক
বিষন্ন বিকেলে খড় কুটো মাড়িয়ে
দেখতে গেছি মেঘহীন উলঙ্গ
আকাশের কিনারা।


উর্বর বসতি পেরিয়ে নীরব নদীর
পাড় ধরে কিছুদূর হেটেছিলাম
ফিরে এসে দেখি তোমাদের বলাৎকারে
ছিন্ন ভিন্ন দেহ তার পড়ে আছে
বিলোল কেশে সন্ধ্যার আবছায়ায়
চোখ তার মহেঞ্জোদারোর
পোড়া মাটি ভাস্কর্য।


কবিতা আমার ফিরিয়ে দাও
যাকে গচ্ছিত রেখে গিয়েছিলাম
ঈশা খাঁর সোনারগাঁয়
বার ভূঁইয়ার দেশে তবু নিরাপদ
মৃত্যুর আশ্বাস ভেঙে ছিনিয়ে নিল
বীরাঙ্গনার দেহ, কেহ টু শব্দটি
করে নাই।


ভীরু কাপুরুষ সমুদ্রের তট
সে আমার জন্মভূমি নয়
আজন্ম আমি শহীদের বাশের কেল্লা
ঘিরে দিয়েছি পাহাড়া জন্ম আমার
স্বাধীনতার যুদ্ধ শিবিরে
টিপুর তরবারির ঝলকানি
দেখে দেখে আমার বেড়ে ওঠা।


কবিতা আমার ফিরিয়ে দাও
যাকে তোমাদের কাছে
গচ্ছিত রেখে গিয়েছিলাম
রেসকোর্স ময়দানে
জমায়েত সেই জন সমুদ্রের
মঞ্চের কাছে যে গর্জন
শুনে ভরকে গিয়েছিল বনের বাঘ
শত্রুর অন্তরাত্মা কাঁপানো
সে কবিতা অামার ফিরিয়ে দাও.....