কখনও ঝুম বৃষ্টিতে খোলা রাস্তায় খুব করে ভিজেছো?
আমি ভিজতাম ছেলেবেলায়। তখন ভালোলাগা গুলো কোনটাই অপূর্ণ ছিলো না। পানি দেখলে লাফিয়ে পড়তাম সদ্য তৈরী হওয়া ভাঙ্গা রাস্তায় বৃষ্টির চৌবাচ্চে। গোড়ালি অব্ধি ডুবলেই ভেবে নিতাম, না জানি কি মজাটাই না করছি! আজ পুকুরের পানিতে!।


কে জানতো সে ঝুম বৃষ্টি আর আগের মত হৃদয়ে কড়া নাড়বে না! কখনও বৃষ্টির কবলে পড়লে প্রমাদের সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে না গিয়ে কমবে না। কোন কারণ ছাড়াই অজানা আশংকায় ধুকপুক করতে থাকে বুকটা। ভিজবো কি ভিজবো না! পরিসংখ্যানে ফলাফল থেকে যায় স্থগিত।


বহুদিন আগেই বৃষ্টির ভালো লাগা অংশটা আকস্মিক দোলা দিতে থাকে অন্তরে। বারবার সে পরিস্থিতি আগলে নেয়ার লড়াইয়ে অগ্রগামীও থেকেছি। নিয়েছি তার থেকে ভালো লাগার স্বাদ। অনেক ভেবে দেখেছি, সে সময়টাতে প্রশান্তির চাদরে মুড়িয়ে নেওয়াতে ছিল না কোন খাঁদ।


অব্যস্ত কাজে কোন গন্তব্যে চলাকালীন মেঘমালা যবে সূর্য কিরণ ঢেকে দিয়ে বর্ষণের প্রস্তুতি নেয়, তখন এলোমেলো হাওয়ায় উড়ে চলা বৃষ্টির ঝিরঝিরে কণাগুলো আছড়ে পড়ে কপোলের মসৃণ চাদরে। যেন আলতো করে ছুয়ে দিতে চায় নাক, মুখ, চোখ, ঠোঁট।


ভালো লাগার পরশে মাথা সামান্য উঁচু করে চোখ বুঝে ডুবে যেতে মনে চায়। ভুলে যেতে চায় দুনিয়ার সব আয়োজন-কে। বৃষ্টির ঝিরঝিরে কণা পতন শেষ হওয়ার আগেই আউস চুকিয়ে নিতে ব্যস্ত হয়। সবকিছু ফেলে রেখে চলে যেতে চায়, হারিয়ে যেতে চায় কোন অপ্রাপ্তি ভালোবাসার কক্ষ পথে।