সোনালী যুগের পূর্বাহ্নে সূর্য বিকিরিত আভা যেমন পনেরো কোটি কি.মি. দূরত্বের মানবসঙ্কুল পৃথিবী নামক নীলগ্রহকে সার্বক্ষণিক আলোকিত করে রাখতো,
তাতে বসবাসরত মানুষ সর্বক্ষমতাধর খোদার প্রিয় বান্দাগণ কর্তৃক প্রদর্শিত পথকে হেয় করে সৌর আধার পানে তাকিয়ে অন্তরে হিংস্র লাভা লালন-পালন করতো।


দাম্ভিকতার জুতো মাথায়
লড়ে যেত তারা কথায় কথায়
হিংসের বেড়াজালে ছিল আবদ্ধ,
মানবতার দয়া চপ্পলে পিষে
উৎসবে মাতে করতালি, শিশে,
শয়তানি ধোকায় ছিল কারারুদ্ধ।


লালসার ঐ দৃষ্টি ক্ষেপণ
লোভাতুর চোখে নারীন্বেষণ
যৌনতাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য,
মেয়ে শিশুর ঐ জন্মক্ষণে
মাটি কেঁটে রাখে গভীর বনে
চাপা দিতো তারা নবজন্মার বক্ষ।


স্ত্রী ছিল পতিতার খাতায়
দাসীরা ছিল মালিকের মাথায়
ধর্ষণ ছিল নিত্য বেলার কর্ম,
কাঠ ও পাথরের মুর্তিতে
সেজদায়রত তারা ফুর্তিতে
কোটি কোটি দেবতা, ওদের ধর্ম।


ছিলো সংঘাত ছিলো যুদ্ধ বিবাদ,
ছিলো অন্যায় ছিলো মিথ্যাপবাদ,


ছিলো দূর্বলদের কুঠারাঘাতেই পেট-পুজোতে মত্ত্ব,
ছিলো সবলের বাণী ফালতু হলেও হুবলের প্রদত্ত।
ছিলো ক্ষমতাবান রক্ত চক্ষুধারীদের চরম অত্যাচার,
ছিলো ন্যায়হীন নেতাদের অসামান্য অন্যায় অনাচার।
ছিলো মদ জুয়া নিয়ে মত্ত্ব থেকেই কাটাতো তাদের দিন,
ছিলো মিথ্যাবাদিতা, ধোঁকাবাজি আর সুদ হিসেবে ঋণ।
ছিলো মানবতাহীন নোংরা পশুর ন্যায় যৌন চাহিদা নিবারণ,
ছিলো অশ্লীল বাক্যালাপে পরাজিত হয়ে লড়ে যেত আমরণ।


ছিলো চুরি ডাকাতির সয়লাব
ছিলো মুদ্রা লোভীর আত্মসাৎ,
ছিলো খুন, হত্যা, রক্তপাত,
ছিলো লাত, উজ্জা, মানাত।