খুটখাট কিসের আওয়াজ -
তন্দ্রাঘোর কেটে গেল হঠাৎই।
চোখ কচলাতে কচলাতে লক্ষ্য করলাম,
আজ বাতিটা নেভাতে ভুলে গেছি।
বুকের ওপর এলোমেলো প্রবন্ধ সমগ্র -
প্রাবন্ধিক মহোদয় আমার বেশ পছন্দের।
নামটা নাই বা বললাম আজ,
পরে কোন এক কবিতায় হয়তো -
বলা হয়ে যাবে অজান্তেই ।
বড্ড জলের তেষ্টা পেয়েছে,
বলে নেয়া ভালো -
মশার সাথে আমার বেশ ভাব আছে,
তোমরা ভাবছ ?  প্রলাপ !
সত্যি বলছি -
আমার কর্ণকুহরে ওদের গুণগুণ শব্দের,
চিরন্তন নির্ভেজাল প্রবেশাধিকার।
আরে, তুমি হাসছ কেন  !
জানো, মশক প্রজাতি নেহায়েত মন্দ না।
তবে, তবে কিছু দুষ্টুও আছে।
ওরা আমায় পাগল বলে গালমন্দ করে।
বলে কি জানো ?  
আমি নাকি কিপ্টুস,  ভণিতা করি ?
মশারী কেনার পয়সায় সিগারেটে -
বৃত্তাকার গোলক ছুড়ি আর অপলক,
তাকিয়ে থাকি বনবন শব্দে ঘোরা ফ্যানের দিকে
আজ  বেশ গরমও পড়েছে,
একটু অবাক হলাম-
কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম !
এদিকে জলতেষ্টার কথাটা বেমালুম ভুলে গেছি।
কে, কে হাঁটে ? মনে হলো -
ঝুল বারান্দায় খটখট খরমের পায়চারি -
খুব সাবধানে কেউ পা ফেলছে।
ঠিক যেন বাবার মতো ।
অবশ্যি তিনি কোন লাঠি নিতেন না।
কাঁপা হাতে গ্লাসে রাখা পানিটা নিয়েও -
রেখে দিলাম সাইড টেবিলে।
তৃষ্ণাটা উবে - বুকের ভেতর শীতল অনুভূতি,
আজ ঘোর অমাবস্যা -
কুকুরের ঘেউঘেউ আওয়াজ প্রতিদিন শুনি,
তবে আজকে ব্যতিক্রম।
হয়তো ওরাও কোন নিরাপদ আশ্রয়ে -
অমানিদ্রায় ঢলে পড়েছে।
কিন্তু পৃথিবীর এ আঁধার প্রান্তে -
আমি বুঝি নির্ঘুম রজনী যাপনে ত্যক্ত।
হুম, বিরক্তিকরই বটে।
সিগারেটের বাক্স আনমনে  হাতড়িয়ে -
ইচ্ছে করছে না,  তবু,,,,,,,,
লাইটার জ্বালিয়ে ঘুম ভাঙাবো না আজ অবনীর
নিত্যদিনের খরতাপে ও পরিশ্রান্ত।
আজ শুধু আমিই জেগে থাকব -
এ রাত শুধুই আমার হয়ে থাক,
একান্তই একাকী -
আমিত্বের আস্বাদনের অভিলাষায়।