আজই তোমার চিঠি পেলাম মিতা
সে কারণেই দু কলম লিখতে বসা -
আমি আবারও পেতে চাই তোমাকে
তোমার সান্নিধ্য ও উষ্ণতার উৎকর্ষতা
সময়ের দাম এমন করে দিতে হবে
কেইবা জানতো তুমি বলো -
বড় একা নিঃসঙ্গ জীবন যাপন,
তুমি লিখেছো তোমার কেশরাজ তেল
গায়ে মাখা সাবান, কুমকুম, কাজল
সবকিছু ফুরিয়ে গেছে, ঘরের চাল বাড়ন্ত
ছেলেটার আবদার একটা রঙিন  পাজামা
মায়ের পায়ে দু'রঙের ছেঁড়া হাওয়াই চপ্পল,
শুধু তোমার নিজের শরীরের কথা কিছুই লেখনি...
কেন লেখনি তুমি? সে কি ইচ্ছে করেই!
এবার যখন তিন দিনের জন্য বাড়ি গেলাম
আমি দেখেছি তোমার গা, গায়ের জামা
ব্লাউজে টুকরো রঙিন কাপড়ের সেলাই
অথচো চিঠিতে লিখলেই না তুমি
জানি, কেন লিখতে পারনি!
আমার অফিসের কাজ একপ্রকার বন্ধ
মাইনা হয় না আজ প্রায় চার মাসের ওপর
আমার তালি দেওয়া প্যান্টের পকেট খালি,
চাল-ডাল-তেল-নুন যতটা প্রয়োজন
ততটাও জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছি -
সাধ আর সাধ্যের বাঁধন তুমি প্রিয়তমা।
তবুও একটা সবুজে-হলুদে ডুরে শাড়ি
মায়ের জন্য একজোড়া বর্ষার চপ্পল
একটা লাল রঙের পাজামা আর খোরাকি
এগুলো আমাকে নিয়ে যেতে হবে খুব শীঘ্রই,
তুমি বেশি চিন্তা করো না প্রিয়তমা আমার
আমি একপ্রকার ভালো আছি কোলকাতায়
এখানে আছি বলেই দুমুঠো অন্নের জোগাড়,
এখানে প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ
তবুও সংগ্রাম থেমে নেই বাঁচার লড়াইয়ে
এ যুদ্ধে তুমি আমি আমরা সকলেই সৈনিক
পরস্পরের প্রতি দ্বায়িত্ব বোধ থেকে এন্টিবডি
সতর্কতা অবলম্বন করেই পথ চলা আমাদের
জীবন যত সুন্দর ঠিক ততটাই যন্ত্রণাময়;
তুমি বুঝিয়ে দিয়েছো সে কথা আমাকে
অক্ষরে অক্ষরে লেখা তাই হৃদয়ে আমার
ফিরে আসছি আমি প্রস্বাস নিতে।