মানুষের বাঁচার ভাঁড়ার ঘরে
এখন অহমিকা-আধিভোগ-অতিশয়তা
অপ্রত্যয়-মদ্র-অনার্জব-লালসা শব্দগুলো
ক্রমশ ভীড় করে আসছে।
মোমবাতির শেষ আলোর মত
ভালোবাসার রঙ এখন পর্যুষিত,
উইয়ের ঢিবি উত্তরোত্তর ঢেকে ফেলছে
      বিনোদনের খুঁটিটাও।
শুধু সাইরেনের শব্দে ক্রমাগত পথচলা
      এলোমেলো ভাবে ---
কাঁচের স্বর্গে পৌঁছতে গিয়ে
ক্লান্তির দূয়ারে ঘুরপাক খেতে খেতে
এক সময় নিশ্চুপ হয়ে
      নদী তীরে নুড়ি কুড়োনো।
তারপর অপরাহ্নের স্তিমিত আলো এসে
আলিঙ্গন করে কুঁজো শরীরটাকে,
তখন চোখে এসে লাগে বিস্মৃতির কালো ধোঁয়া;
হঠাত্ জীবন নদীর নোনা জলে দৃষ্টিপাত করলে
নিজের বীভত্স মুখটা দেখে আঁতকে ওঠে,
সংগ্রামের শেষ ধাপে এসে অনুভব করে
পায়ের নীচে চোরা বালির চর
শ্লথ গতিতে ডুবে যাওয়া --
তখন অনাশ্রিত হাত দু'টো আঁকড়ে ধরতে চায়
এক টুকরো আকাংখা, অন্তিম এষণা :
'ডুব সাঁতার দিয়ে ওপারে ঠেলে উঠে
সমস্ত ব্যাথা-বেদনার জাল ছিঁড়ে
পেতে চায় প্রতিবন্ধকতার ছাড়পত্র,
চায় নতুন করে হামাগুড়ি দিতে।'