আসরের সকল কবি, লেখক ও শুভানুধ্যায়ীদের জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালবাসা। আশারাখি সকলেই ভাল আছেন। অনেকেই নিয়মিত লিখছেন আবার অনেকেই বেশ অনিয়মিত হয়ে গেছেন ব্যস্ততার কারণে। যাই হোক, আজ একটি প্রতিবেদন রাখছি আপনাদের কাছে।প্রায় ৬ মাস হয়ে গেল এখানে আবৃত্তি ঘর অর্থাৎ আবৃত্তির আসর শুরু করেছেন আমাদের শ্রদ্ধেয় এডমিন। এটা আমাদের কাছে একটা বড় পাওয়া। এই আসর শুরু হওয়া থেকে মাত্র তিন জন – কবি মিমি দিদি, কবি সহিদুল হক এবং আমি আবৃত্তির আসরে যোগ দান করি। নিজেদের কবিতা আবৃত্তি করার সাথে সাথে আসরের অন্যান্য কবিদের কবিতাও আবৃত্তি করে চলেছি। নিজের ইচ্ছায় আবার অনেক সময়ে কবিদের অনুরোধ রাখতে। আবৃত্তি প্রকাশ করার পর অল্প সংখ্যক কবি এই আবৃত্তির আসরে এসেছেন শুনতে ও তাদের মতামত প্রকাশ করতে। বিশেষ করে এইখানে একটা কথা বলে রাখি – আমি নিজে আসরে কিছুটা নিয়ম ভঙ্গ করে আসরের কবিদের অনুরোধ জানাতে থাকি – যে তারা যেন আবৃত্তির আসরে আসেন এবং আসরে প্রকাশিত আবৃত্তি গুলি শোনেন। আমার ডাকে সাড়া দিয়েছেন অনেকেই। এরফলে শ্রদ্ধেয় এডমিন এবং আসরের কয়েকজনের নিকট থেকে আমাকে বার বার মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে …আমি নিয়ম লঙ্ঘন করছি – এই কাজটা একেবারেই ঠিক নয়! কিন্তু আমি কেন করেছি…সেটা নিয়ে কিন্তু কেউই একবারও কিছু বলেননি। আজ আবৃত্তির আসরে প্রায় ১২/১৪ জন কবি তাদের স্বকণ্ঠে কবিতার আবৃত্তি দিয়ে চলেছেন। যেমন কবি ফয়েজ উল্লাহ রবি, তার কথা টেনেই বলি … আমি ওনার কবিতা আবৃত্তি করার সাথে সাথে ওনাকেও উদ্বুদ্ধ করি নিজের কবিতা আপনি আবৃত্তি করুন … ভাল/মন্দ এনিয়ে ভাববেন না, আবৃত্তি করুন। কারন অনেক ভুলভ্রান্তি আমাদেরও আছে। কাজ করতে করতে সেগুলি ঠিক হবেই। কবি রবি আসরে আবৃত্তি করেছেন এবং আরোও করবে জানিয়েছেন। ঠিক একইভাবে কবি রিঙ্কু রায় ও কবি সোমালী আসরে তাদের কবিতার আবৃত্তি দিয়েছেন। এবং আরোও অনেকেই দেবেন বলছেন। এই আসরে প্রত্যেকেই আমরা পরস্পরের …… তাই আমার এই প্রচেষ্টা জারি থাকবে আসরের কথা ভেবেই। এ কথাতো ঠিক অন্তত ২/৩ জন কবিকে এই আবৃত্তির আসরে স্বশরীরে (স্বকণ্ঠে) হাজির করাতে পেরেছি। এবং ভবিষ্যতে আরোও অনেকেই যে এগিয়ে আসবেন সে বিশ্বাস আমার আছে। এর ফলে এই আবৃত্তি বিভাগের জনপ্রিয়তা বাড়ছে … শুধু আসরকে ভালবেসে ভালবাসা আদায় করে নিয়েছি। শ্রদ্ধেয় এডমিন মহাশয়কেও আমি কয়েকটি কবিতার আবৃত্তি পাঠিয়েছি … তার মধ্যে উনি একটি প্রকাশ করেছেন। অন্যগুলি হয়তো কিছু ভুল ত্রুটি থেকে গেছে … তার জন্য আসরে প্রকাশ পায়নি। তার পরেও আমি আসরের কথা ভেবে অনেক কবিকেই তার কবিতাতে কণ্ঠ দেবার জন্য অনুরোধ রেখেছি, শুধু আসরের পরিপূর্ণতার কথা ভেবেই। তার ফলে খুব সামান্য হলেও এই আবৃত্তির আসরে কিছু ভিন্ন কণ্ঠের স্বাদ কিছু বৈচিত্র আসবে, সেটা কম কিসের!


তাই সকলের প্রতি আমার প্রতিবেদন আসুন সবাই চেষ্টা করে দেখিনা অন্তত নিজেদের কবিতায় কণ্ঠ প্রয়োগ করতে। যেমন কবিতা পাঠে আপনারা তৃপ্তি পান তেমনই এই আবৃত্তির রস্বাসাদন করি সবাই মিলে। আরোও কিছু কথা আলোচনার আসরে পূর্বে প্রকাশ করেছিলাম “আবৃত্তির স্বরলিপি” এই শিরোনামে, সেখানেও আমি চেয়েছি আসরের সবাই এগিয়ে আসুক এই আবৃত্তির রস্বাসাদন করতে।  কবি তপন দাস মহাশয় আমাকে অতিথি আলাপনে বলেছিলেন...... "আপনি কি কাউকে আবৃত্তির জন্য উৎসাহিত করেন?" তার উত্তর - আমি নিয়তোই চেষ্টা চালিয়ে যাবো আপনাদের মাঝে থেকে আপনাদের ভালবাসায় ধন্য হয়ে। আপনাদের সকলের প্রতি আমার আমৃত্যু ভালবাসা জানিয়ে জেনে নিতে চাই আপনাদের মতামত??