হঠাৎ কালো পোশাক পরা কিছু মানুষ
হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ল কলেজের মধ্যে
তাদের মুখ ছিল ঢাকা, হাতে রাইফেল
বন্দুক তাগিয়ে বলল হিন্দু কারা উঠে দাঁড়া
ভয় পেয়ে ওরা উঠলেও আমি উঠিনি
যারা উঠে দাঁড়িয়েছিল বেশিক্ষণ নয়
বন্দুকের সামনে সবাই শুয়ে পড়েছিল
তারপর কালো মানুষগুলো চলে গেলে
ফিরোজ আমাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছিল!


অনির্দিষ্টকালের পর আজ কলেজ শুরু
সারাদিনটা ছিল মনোরম রৌদ্রকরোজ্জ্বল
বিকেল তখন তিনটে বেজে পনেরো
আচমকা গুলির শব্দে সবাই জড়সড়
একদল গেরুয়া পোশাক পরা শান্তিরদূত
হাতে বন্দুক নিয়ে ঢুকে পড়ল ক্লাসে
বলল মুসলমান কারা কারা উঠে দাঁড়া
তৎক্ষণাত আমি বন্ধু ফিরোজকে চেপে
নিজেই উঠে দাঁড়াই শহীদ হবার জন্য
ওদের বন্দুক থেকে গুলি বেরিয়ে এসে
বুকে লাগার আগেই ফিরোজ বুক পাতে
তার বুক চেরা রক্তের টকটকে লাল রঙে
নিজেকে রাঙিয়ে প্রাণে বেঁচে যাই আমি
আর ওরা শান্তির ধর্মরাষ্ট্র চেয়ে রক্তের খেলায়!


কিন্তু সত্যিই কি বেঁচে আছি আমরা !
হে আমার মা, হে আমার জননী জন্মভূমি
কেন আমাকে হিন্দু করলে?
কেন মুসলমান করলে?
কেন বৌদ্ধ করলে, কেন খ্রীষ্টান করলে?
কেন মানুষ করলে না মা আমাদের !