সুন্দর মুখ তার,
পরিপাটি কি বাহার,
একবার দেখে যে
ফিরে চায় বার বার।


ঠোঁট তার গোলাবী
চোখ দুটা মায়াবী,
মধু ভরা হাসিতে
স্বপ্নের পৃথিবী।


জর্জেট ওড়না,
ওড়ে যেন ঝর্না,
ভরা তার শরীরে
যৌবন বন্যা।


কামাতুর দৃষ্টি,
কথা তার মিষ্টি,
মন ভরা প্রেম তার
ছলনার সৃষ্টি।


ঘোরে ফেরে পার্কে,
কেনা সম্পর্কে,
আজ রাতে ঠিকে দরে
প্রেমিক হবে তার কে ?


প্রেমিকের জন্য,
যৌবন পণ্য,
সাজিয়ে সে বসে আছে
দিয়ে হবে ধন্য।


যৌবন বিকিয়ে,
আয়ু কেনে তা দিয়ে
বসে আছে বিষ ভরা
পসরা সে সাজিয়ে।


চারিদিকে হাহাকার,
ভালবাসা নিয়ে তার,
নিষ্ঠুর এ পৃথিবীতে
বেচে ফেরে দ্বার দ্বার।


কিছু টাকা খরচে,
তার প্রেম পরশে,
রুক্ষ প্রেমিকগুলো
সুখ লুটে আয়েশে।


নাম তার জামেলা,
মালতি কি কমলা,
এই বেলা কবিতাতো
ছন্দা সে ও বেলা।


কখনো সে হোটেলে,
কখনো সে মোটেলে,
ফ্ল্যাটে বা গাড়িতে সে
খদ্দের জোটালে।


পুলিশের হানাতে,
কখনো সে থানাতে,
ছাড়া পায় প্রতিবারই
কিছু টাকা গণাতে।


রাতে ফেরে বাড়িতে
রিক্সা কি গাড়িতে,
ঢুলু ঢুলু চোখ নিয়ে,
এলোমেলো শাড়িতে।


কত রাতে সপনে,
জাল বোনে গোপনে,
সুখী হবে একদিন
সংসার জীবনে।


চোখ রেখে চেখেতে,
দিন যাবে সুখেতে,
আরও ভেবে খেয়ালে
হাসি ফোটে মুখেতে।


ছোট এক সংসার,
কাজ করে দিন পার,
সুখে দুঃখে কারও সাথে
মিলেমিশে একাকার।


তারও সখ মা হবে,
ছেলে মেয়ে যা হবে,
কচিঁ মুখের হাসিতে
তার বুক ভরাবে।


সব ব্যাথা জুড়াবে,
অপবাদ ফুরাবে,
বুকে চেপে সন্তান
কাঁদবে সে নীরবে।।


ঘুম ভাঙ্গে দেরীতে,
ক্ষুধা জাগে হাড়িতে,
স্বপ্নের ঠাঁয় নেই
এই পোড়া বাড়িতে।


ফের সাঁজে শাড়িতে,
চেঁপে বাস গাড়িতে,
আবারও সে পার্কে
শরীরের ফেরীতে।


কেও বলে নষ্ট,
কেও পথ ভ্রষ্ট,
কেও বলে চুপি চুপি
কেও স্পষ্ট।


পতিতা তো এরা তাই,
দুর দুর ছাই ছাই,
আড়চোঁখে দেখে তারে,
ঘৃণা আর করুনায়।


এই ভাবে দিন যায়,
রবি ওঠ ডুবে যায়,
তবু কত কবিতারা
আঁধারেই থেকে যায়।


জীবনের দাম দিয়ে
বেঁচে থাকে এই মেয়ে,
অর্থ বা আহারেই
যৌবন বিকিয়ে।