কাজের স্পৃহা, পদ্ধতি ও অধ্যাবসায় এর কমতি থাকার ফলে যে অনিচ্ছাকৃত ফলাফল প্রাপ্তি হয় তাই মূলত হতাশ হবার প্রধান কারণ।


হতাশা, দিশেহারা, শুন্যতা একজন মানুষের জন্য চরম ভোগান্তির। এটা থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য হতাশাগ্রস্ত ব্যক্তি  দিগ্বিদিক ছুটোছুটি করে-। প্রত্যেক মানুষের জীবন চলার প্রেক্ষাপট অনুসারে কম-বেশি হতাশা বা ডিপ্রেশন আসে। এটা থেকে উত্তোরণ জন্য প্রথমত ধ্যৈর্যধারণ করা উচিত এবং ছোট-খাট ত্রুটিগুলোর সমাধান বের করে সে অনুযায়ী কাজ করা উচিত।
হতাশাগ্রস্ত সাধারণ ভাবে তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে।
ক. উচ্চাকাঙ্খা
খ. অলসতা
গ. অজুহাত।


আপনি যখন আপনার কাজ ও ফলাফলের চেয়ে সেই বিষয়ে বেশী লাভের আশায় বিভোর হবেন; তারপর সেই বিষয়ে উচ্চাকাঙ্খায় ফলাফল প্রাপ্ত নাহলে হতাশায় ডুবে যাবেন; সেটি মানবিক অনুভব। কোন টার্গেটে পৌছানো সম্ভব নাহলে তখন হাল ছেড়ে দিয়ে যে মানসিক অবসাদের সৃষ্টি হয়- তাই হতাশা। তখন পরিবার, সমাজ-পরিবেশ এমনকি রাষ্ট্রের ওপর দায় চাপিয়েও নিজেকে দায়মুক্ত করার ভ্রান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন।


অলসতা হলো- কর্মবিমুখতা, উদ্যমহীন ও জেদের বহিঃপ্রকাশ৷ এর থেকে উত্তোরণের উপায়- নিজেকে শারিরীক কিংবা মানসিক কাজে ব্যাস্ত রাখা। নতুবা ভিন্ন ভাবে ভিন্ন কৌশল দিয়ে লক্ষ্যে পৌছানোর প্রাণান্ত চেষ্টা করা।


আবশ্যিক কাজের ওপর কখনো অজুহাত দেখানো উচিত নয়। সফল ও অসফল ব্যক্তির মানদণ্ড অজুহাতের ওপর নির্ভর করে অনেকটা। সফল ব্যক্তি অজুহাত না দিয়ে কাজে লেগে যায় এবং অসফল ব্যক্তিরা অজুহাত দেওয়ার নিমিত্তে অসফলই থেকে যায়। আপনি যদি আপনার মনমত, চাহিদামত ও স্বপ্নমত কোন কাজ না পান তাহলে আপনার যোগ্যতার চেয়ে কম কাজেই আপাতত লেগে যান এবং সেটায় একটা সময় পর্যন্ত ধরে রাখুন। দেখবেন, ধৈর্য্যই আপনাকে সফল হবার জন্য সহায়তা করেছে।


মূলকথা হলো- এতসব বিবেচনার মধ্য দিয়েও  হতাশাগ্রস্থ হবার মূল কারণ সৃষ্টা-বিমূখ হওয়া। আপনি স্রষ্টা-মুখী নাহলে আপনার মাঝে কখনোই পরিপূর্ণ তৃপ্তি ও পরিপূর্ণ বিশ্বাস আসবে না। তখন কোন না কোন শুন্যতা আপনার পিছনে লেগেই থাকবে।