যদি মনে করেন নারীর জীবনে একজন পুরুষই যথেষ্ট নয়।
কিংবা সামাজিক দায়বদ্ধতা ও বন্ধনের বিষয়গুলোকে খামোখা ভাবেন কিংবা ধর্মীয় চেতনায় বিশ্বাসী নাহয়ে উচ্ছৃঙ্খল জীবনটাই আপনার কাছে রীতিমত শ্রেয় মনে হয় তাহলে ভিতর থেকে শুন্যতাই পাবেন শুধু।
অপবিত্র সম্পর্কে অন্তকরণের জ্বালা বাড়ে শুধু;
সেটা কখনোই আপনাকে পরিতৃপ্ত করতে পারবে না।
নিজের মাঝে বরাবরই লুকানো ভাব ও অপরাধ বোধ থেকেই যাবে। যদি মনে করেন স্বামীর সাথে আপনার যাচ্ছে না
তাহলে এড়িয়ে যান সেসব বিষয়
এবং চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বারবার ভাবুন।
জীবনের প্রসঙ্গে বারংবার ভাবতে হয়, বিজ্ঞদের পরামর্শ নিতে হয়-। যারা ডিভোর্সী হয় তাদের সাথেও শেয়ার করে নিতে পারেন বিষয়গুলো। একটা মানুষের সব বিষয় যে
আপনার ভালো লাগতে হবে ব্যাপারটি এমন হয়।
একেকজন একেক বৈশিষ্টের। শেষ পর্যন্তও যদি
মানিয়ে নিয়ে চলতে না পারেন,
তবে এমন সু-পুরুষ (স্বামীর) সন্ধান করুন;
যার মাঝে আপনার প্রকৃত প্রেমিক খুঁজে পেতে পারেন।
স্বামী প্রেমিক হলেই স্বান্তনা, তৃপ্তি ও ভালোবাসা একসাথে মিলবে। কিন্তু শুধু প্রেমিক সঙ্গী বা বন্ধু হলে
দৈহিক উত্তেজনা মেটানোর প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই মিলবে না।
ঠিক আপনার মতো যদি আমার মা-বোন অথবা
কাছের কেউ এমন চিন্তা করতো-
তখন সে পরিস্থিতি মেনে নেওয়া আমার জন্য একেবারেই অসম্ভব
এবং প্রচন্ড যাতনার হতো। এটা আপনার ক্ষেত্রেও একই রকম হতো-। সবার ক্ষেত্রেও তাই।


প্রত্যেক প্রেমিকরা প্রতারক হয় ও প্রয়োজন মাফিক সুযোগ সন্ধানী হয়; তবে প্রেমিক-হৃদয়ের স্বামী হলে প্রতারক কখনোই হয়না।
প্রেমিকের দায়বদ্ধতা নেই, স্বামীর দায়বদ্ধতা ও দায়িত্বশীলতা পবিত্র এবং যোগ্য। এখানে যদি তারতম্য লক্ষ্য করি তাহলে আমরা দেখবো- হাত-পা ওয়ালা স্বামী না হয়ে
প্রকৃত স্বামী হবার যোগ্যতা হয় ক’জনের?
আপনার জীবনের দায়িত্বের মধ্যে থাকা
মৌলিক কর্মগুলো পালন করুন।
তখনই  ইনশা-আল্লাহ হেরে যাবে বিষন্নতা ও হতাশার লেশ-।