দেখেছিনু তারে আমি, সাঁঝের বেলায়,
দীঘল কালো কেশ তাহার, দুলছে হিমেল হাওয়ায়;
অঙ্গে তাহার রয়েছে জড়ানো, তাঁতের শাড়ি
অপরূপ সৌন্দর্যে মোর, অন্তর নিলো কাড়ি!
হস্তে তাহার রেশমী চুড়ি, কানে ঝুমকোর দুল,
নাকের মাঝে ফুলের নোলক, রূপেতে যাহার হই আমি শুধুই মশগুল!
এতো সরু কোমর তাহার, চিকন তাহার কায়া,
চললে পরে পশ্চাতে যে চলে তাহার ছায়া।
দেখিলে তাহারে নয়ন জুড়ায়, আরো জুড়ায় বুক;
স্বর্গের মাঝে বিচরণ মোর, কে দেখে মোর সুখ!
চুপিসারে দেখিবো বলে চাঁদপানা ওই মুখ
বেরোই আমি সন্ধ্যাবেলা, খুঁজিতে মোর সুখ।
কিন্তু যবে দেখি না রে, তবে বাড়ে মনে দুখ !
দুঃখ আমি পেতে রাজি, কেবল তাহার জন্য,
জানি নাকো ভালোবেসে সে, করিবে কবে মোরে ধন্য!?  
সে না-ই বাসুক ভালো আমায়, তাহাতে দুঃখ নাই
এই জনমে তাহারে আমি, কেবল ভালোবাসিতে চাই।