ঘটনা সত্য তবু ফলাফল যেন বড় গোলমেলে
আসামী ঘুমোয় আরামে আর ধর্ষিতা ওই জেলে।
পুলিশ দু'হাত মেলে ধরে বলে "দাদাবাবু" মিনমিন
জনতার চোখে ধুলো দেয় ওই গদির ক্ষমতাসীন।
এসব দেখে হতাশায় মাথা দুলিয়ে সারাক্ষণ
প্রশ্ন সুধায় কবিদা আমার হয়ে বিষন্ন মন।
হায়েনা শেয়ালে দেশ ভরে গেছে সোনার ছেলেরা কই?
গর্জনে মেতে এনেছিল যারা স্বাধীন সূর্য ওই।
কই সে বন্ধু বাংলার যিনি ছিলেন মুর্তিমান
ভাষণেই যার ম্লান হয়েছিল জালিমের সম্মান।
উত্তরে বলি জুলুম মোদের অদৃশ্য দেবতা আজ
বাঙালি মোরা বীরের জাতি ভুলেছি বীরের সাজ।
আঁকড়ে ধরেছি পরদেশী বেশ,সঙ্গে বাহারি মদ
খাওয়ার পাতে মাছ-ভাত ভুলে এনেছি বিদেশী পদ ।
বাপের টাকায় নেশায় মাতিয়া বেহুশ তরুণ দল
পরস্ত্রী কন্যা দর্শনে বলে "ধর্ষণে মাতি চল"
ঘরে ফিরে ঠিকই "মা মা" বলে চিৎকারে অভিনয়ে
হায়েনার ছাল ছাড়াতে ছাড়াতে উঠবে মানুষ হয়ে।
ওদিকে আশায় বিচারের ঠিক দ্বারে দ্বারে ঘুরে সারা
ধর্ষিতা হয় ক্লান্ত ভীষণ; ভাবে অমানুষ কারা!
সেই হায়েনারা যারা লুটেছিল তার অমূল্য ধন
নাকি ভদ্রতা বেশধারী সব সামাজিক স্বজ্জন ।
না পেয়ে জওয়াব অবশেষে মানে আপন নসিব খেল
গলায় পেঁচিয়ে মৃত্যুর থাবা ছাড়ে ধরনীর জেল।
যাওয়ার কালে ঠোঁট পানে তার মুচকি হাসির রেখায়
খোদার কলমে মসৃণভাবে জালিমের সাজা লেখায় ।
হোক না ওপারে তবুও শান্তি আত্মায় সারাক্ষণ
পঙ্গু সমাজ এই অবসরে পা চাটায় দেয় মন।।



(প্রসংগ-ইদানীংকালে দেশজুড়ে ঘটে যাওয়া ধর্ষনের মত জঘন্য অপরাধগুলো।যার শুরু তনুতে আর আপাতত শেষ বনানীতে আর সিলেটে।কিন্তু ফলাফল অমিমাংসিত)