এ’ধারে ছিলো কাশবন ঘেরা এদোডোবা এক,
ঝর্ণাধারা ছিলো এক ও’ধারে। ঝর্ণার জল এলো
এদোডোবা পাড়ে, আকাশ এলো কি নেমে ধরার ‘পরে?
শূন্যগর্ভ হলো স্থির; মঙ্গলে গড়ে তুলবে এক আজব নগর –
জীবনের রসায়ন, আগামীর ভিত।
বিজ্ঞানী তার্কিক তাবত ধর্মতত্ববিদ গলদঘর্ম
সদা খুঁজে ফিরে তীর রহস্যাগারের।


এখানে তার্কিক, ওখানে বিজ্ঞানী সদা তৎপর
কেবল ধর্মগুরু করেন ঈশ্বরে নির্ভর।
একটি রেল সবেগেতে ধায়, করে না ভ্রূক্ষেপ।
জানে না সে পথ-ঘাট চেনে না নগর,
পশে না কানেতে তার কোন হুঙ্কার
শুধু জানে; নতুন পৃথিবীতে পৌঁছতে হবে তার
ঘড়ির কাঁটায় - ঠিক দশ ঘটিকায়।


ওখানে - ওই রহস্যাগারে; নিয়মিত সভা হতো
উৎসবের নীরব গানে সাজা’ত বেদী প্রতি পরবে।
ঝর্ণার জল এলে সাদরে বরিতে তারে হতো উন্মুখ।
একদা সে জল এলে সাদরে বরিয়া তারে
লাগায় ঘরেতে তালা; আর কোন সভা নয়,
নয় কোন গান, মুলতবি সভা সব, সব আয়োজন
বিজ্ঞানী ভেবে মরে রহস্য জানার, সমাজপতিরা ভাবে একি কারবার!


- - - - - - - - - - - - - -  - - - - - - - - - -
* 'কাব্য মঞ্জুষা' (পৃষ্ঠা-৯) কাব্য সংকলনে প্রকাশিত।