আটপৌরে জীবন জুড়ে কত না তাপ্পি আঁটা!
প্রেমের উষ্ণতা নেই, কামনায় রোমাঞ্চের কাঁটা।
চোখের নজর ঘোলা হলে সোহাগ লাগে বাড়াবাড়ি
চাল-চুলোর হিসেব-নিকেশ কেমন ধারা দিগদারী।


নাঙা রোদের আঁচে - যায় মিলিয়ে রিনিক ঝিনিক
পুষ্প-কোরকবাসে - আর মিলে না খুশীর ঝিলিক।
হাঁড়ির ঠোকাঠুকি বড় বেশি বাজে কানে,
দায়িত্বের বন্ধন! প্রেম আর জাগে না প্রাণে।


সঙ্গত ভেবে যত ছিল লেখা অসঙ্গতের খাতায়
তোষণের তেল তবু বৃথাই ঢালা বিছুটি পাতায়।
ভালোবাসা-বাসি সব - 'যাতনার আমড়া কাঠ'
আটপৌরে প্রেম - কর্তব্যের চেতনা বিনাশী পাঠ।


বুঝতে কি পারে মন; কী হারিয়ে সে কি পায়?
হারানো প্রেমটিরে খোঁজে ফিরে নিভৃতে নিরালায়।
বুকেতে জমেছে মেঘ? হোক না খানিক বৃষ্টি
সেই ধারাতেই ভিজেও মনে যদি আসে তুষ্টি।


মনের নিবিড় কোণে ছিল যেই ভালোবাসার চাষ
তাকে ফেলে আসা যায়, যায় না কাটানো পাশ
স্মৃতির আকাশে আলোর দ্যুতি তারা হয়ে ফোটে
সে আলোরেখা ঢেকে চলা গেলেও যায় না টুটে।


জোনাক নিশিথে ছিল কত ভাবনার ফুল-কুঁড়ি
উড়ো উড়ো মন পায় না যতন হাঁটে দিয়ে হামাগুড়ি।
কোরক জঠরে বৃত - নবনীত পাপড়ি কুসুমের  
কাঁটার আঁচড় দাহে বড়ো গোলাপেরও চেয়ে ঢের।


হায় রে জীবন! কেমন করে বদলে দেখ দিন!
যৌবন বিগত, বাড়ছে বয়েস হচ্ছে দৃষ্টি ক্ষীণ।
শিথিল প্রেমের শীতল পরশ; উষ্ণতা যায় উবে
পূব আকাশের তরুণ রবিও পশ্চিমেতে ডুবে।