আহা, ঘুম কাতুরে বাহাত্তুরে স্মৃতিদল
ঘন ঘন রূপ বদলায়!
চারু দুরন্ত সদা চঞ্চল, দুর্জ্ঞেয় পাবক
দুষ্মন্ত পাতক সে, অবিনাশী হিমালয় সম
কী-বা অনড় অটল শাক্যমুনির বেশে।


বর্গমূলে হুলস্থুল... প্রশস্ত জামিনে লুটায়,
তারায় খচিত কপাটে কখনো সে ধরে
এক বুক প্রশান্ত আকাশ, কখনো অতল সাগর।
বাঁশফুলের অমিয় সতেজতায় অভ্রান্ত বোধন;
কখন যে হয়ে যায় নিঃস্ব - ছিন্নভিন্ন।


স্মৃতি ভারে ন্যুব্জ যে বেদনার কলি,
মালা গাঁথে অজান্তে কার?
সে কি কিছু জানে -
কেউ আজো মনে রাখে তারে,
নিভৃতে জ্বালায় হৃদে মোমের প্রদীপ!


কারোর ঘরণী সে, হয়তো জননী।
তবুও কি গো মুছে গেছে
প্রাণে পোষা সেইসব স্নেহ স্মৃতিগুলি?
তেমনি সজীব আছে,
যেমন সদ্য ফোটা বেলী অমলিন।


সে যে জানল না হায়,
তার নামে কে নীরবে মালা গেঁথে যায়,
কার হৃদে আজো জ্বলে মোমের প্রদীপ?  
কে বা কোথা জেগে থাকে বুকে নিয়ে
বরিষণে মুখরিত শ্রাবণ নিশি।