শীতে উদ্বেল জাগ্রত রজনী অশ্লেষ আয়েসে
ঘুম যায় কুহকের নির্লিপ্ত বাসরে
কে তারে স্মরে? কে ই বা ঘিরে আর
সজনী বালার তেলচিটে ছেঁড়া কাঁথায়?
তবু শীত আসে, তবু শীত যায়;
ফাঁকা ঠোঁটে সজনীর ফুরায় না দীর্ঘঃশ্বাস।


অজস্র পণ্য শীতের বাজারে আজ
নয় শেষ কিছু বিলাসের অভিলাষ
শরীর মনের সতেজতার পসরা সাজিয়ে
ফুটে আছে যেন কী সে আলোর মেলা!
গাঁটের কড়ির আজ নেই অবশেষ
শ্বাসে-নিঃশ্বাসে ফুলে উঠেছে তা বেশ!


ভোগে ও বিলাসের ধনী শীত আজো আসে
গায়ে লাগায় না কেউ হিম বাতাস।
হাড়কাঁপুনি হানাদার শীত হাহাকার তোলে
শুধু রমিজের-মা বুড়ি; বীরাঙ্গনার ভাঙা ভিটায়,
‎সারল্যের আধার ‎পথশিশুর বিবর্ণ ঠোঁটে;
‎ব্যর্থ ওমের হাসিটি আজও ফোটে তাদের
‎কুড়নো আবর্জনার ধোঁয়াতেই।

আকাল ছিল বড় ছেঁড়া কাঁথা মাদুরের
রেডক্রসের কম্বল এলে পায়নি পিতা
ভাগেরটিও তাঁর। দোষ ছিল কার?
তবু শীত সে-বার মিটেনি জনতার।
সেই সব নির্লজ্জ ইতিহাস বয়ে তবু শীত -
বড় বেহায়া যে, আসে সে বারে বার!