দোষ কী বলো এই মনের?
হতাশা-বঞ্চনায় যে মন দলিত সন্ত্রস্ত এত -
কী করে সে হাসে বলো আর?
স্বপ্ন বোনে কী করে সে জীবন সাজাবার
ভালোবাসা যায় তারে কত ক্লেদ ঠেলে দূরে?


তবুও জীবন বড় মায়াময়ী, প্রীতি সোহিগিনী
সোনার কাঠি রুপোর কাঠির অমিয় পরশ
পাশ কাটানো যায় কি সহজে?
তাই না, দলিত মথিত শত বেদনায়
ছেড়ে যেতে মন সরে না কারোর।


যে চোখ পায় না দরশন জানি কতদিন
যে কান শোনে না কণ্ঠের ভরা-স্বর
পড়ে না হৃদয় তীরে এতটুকু ছায়া
ঝরা পাতার শুকনো বুকেও
বাজে না আর কোন মর্মর পদছাপ!


হাহাকার বুকে জাগে হায়, বিরহিণী চিল
কেঁদে কেঁদে রাত তার কুলায় ফিরে
স্মৃতির কপাটখানি কেঁপে উঠে বারেবার।
সময়ের বায়না পূরায় না,
দুচোখ জুড়ে তাই ঘুম তার আসে না।


নিশিপ্রিয় জোনাকিরা চোখ পেতে রাখে
নিশুতির আঙ্গিনা 'পরে  
চোখের পাতা ধিকিধিকি জ্বলে
অনাদরে গড়িয়ে বাড়ে রাতের প্রহর
আর বিরহের মিহি সুর লহরী তুলে।