পুরেছি ভোরের আলো মনের খাঁচায়
মুক্তধারা প্রদীপশিখা দেখতে যেন পাই!
ঘোচাও যাপন, নিভাও অনল, ক্লিষ্ট দাহন
মিটাও জ্বালা, আশা-প্রদীপ কর হে দীপন।
প্রেমের শিখায় মন-মজানো সুর ভুলানো
তান ধরেছে, গান জুড়েছে কোন মজনু?


জানালার চৌকিতে ভরা চাঁদ জ্বলে কি  
সময় যে যায় বয়ে, জাগে মৃদু ফুলকি!
জ্যোৎস্নার সরসীতে শ্বেত-স্নানে কা’রা যায়
কেলায়িত যামিনী লাজে মরে নত পা’য়!
চাঁদ-নদী আঁখি-তারা চকিতে শুধায় কা’রে
ফুল-পাখি নিধুবন হারায় কি বারে বারে!


দিবসের উলঙ্গ-দাপট; কৌমুদ লাজে পালায়,
যমুনা-স্রোতস্বিনী সুর তোলে, বেভুলে মাতায়।
যদি ব্যথা-বারিধিতে কভু যাই গো ভেসে
অমলিন সুখ-সুধা আর জীবনে না আসে,
বলে রাখি বন্ধু সকল সুজন ভ্রাতার তরে;
চেয়েছি ফোটাতে ফুল কিছু পরম আদরে।


মোর বাণী বন্ধু তবে, লিখে রে’খ যতন করে
হৃদ-মুকুরে এঁকে সে ছবি দে’খ গো জীবন জুড়ে।
যাবার বেলায় জে’ন; নে'ব না মুঠো ভরে কিছু
আশা– ভালবাসা, পাই যদি স্মরণের আগু-পিছু।
চুপিসারে এসেছিলেম, দাপিয়ে গেলাম মাঠ-ঘাট
চুপিসারেই যা'ব চলে, গুটিয়ে হাতে আপন পাট।
____________________
⭐ কবিতাটি "বাইনারি সুখের পিদিম" (পৃষ্ঠা-৪০) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।