রূপকে মুড়েছি হৃদয়, যাপনকলা - নিয়তি সন্নিধানে
অনপনেয় অমোঘ কলিতে ঢেকেছি আকাঙ্ক্ষা-বাসর
ক্ষুব্ধ যাতনায় বন্ধ এবার উদার আবেগের ডালা।
জীবনকাব্যের কথকতা - হোক যত অলীকপ্রতিম
সায়রে ভাসাই পদ্ম-কুসুম, আকরেতে খুঁজি নীলা।
সরসীর নীরে চারপাশ ঘিরে বসেছে বিবিধ মেলা
ব্যথার কাজল তৃষিত আঁখিতে; যায় কি তা মোছা?

চারপাশ ঘিরে কত রূপ ও রঙ সাবলীল আয়োজন
জানালায় বসে অনিমেষ চোখ রাঙে গোধূলী আভায়
দেনা-পাওনার অযুত দাবি মুহুর্মুহু করতালি হয়ে ফোটে
এখনো মাতাল গন্ধ ছড়ায় কত না মহুয়া বকুল দলে
কত পাখী গায় সুরে, কত নদী ধায় ধীরস্রোত বুকে
জেগে আছি একা, প্রতিবেশে নেই জানা বন্ধু স্বজন,
আপনারে ঘিরে অবশেষ কিছু; আর কোন প্রয়োজন!

কেয়া পাতায় দিতে পাড়ি তৈরী যখন এই বেলায়,
আঁধারের নীরব চোখ লুকায় ব্যথা কাঁদে অলখে।
চোরাস্রোত যেমন নিভৃতে দেয় পাড়ি তীরহীন অথৈ নদী
ত্রিমুখী নয়নে পড়ি ইতিহাস যাপনের পাতা ছিঁড়ে।
আনমনে গাঁথি যাপনের দিনলিপি হরষে কি বিষাদে
দায়মুক্ত হই কালের করপুটে রাখি কৃত্বির বিবরণী
আমি মুক্তভার – তাই, দায়মুক্তির আনন্দেতে নাচি।
____________________
⭐কবিতাটি "বাইনারি সুখের পিদিম" (পৃষ্ঠা-৭৫) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।