🕙


ঘড়ির কাঁটায় ঘুমিয়েছিলাম ঠিক দশ ঘটিকায়
দুঃস্বপ্নের পিঠে চড়ে ফিরেছি জীবন নীড়ে
এগার আটান্ন সবে – দুমিনিট বাকি, হয়নি বারোটা তবু
সে-কি সর্বনাশের ঘটা, অসহায় যামিনীর নীরবতা!
স্থির রয়েছে কাঁটা, অনড় পেন্ডুলাম - দেখছি সাঁটা,
এগোচ্ছে না মোটে বড় সনাতনী জ্যাঠা,
বাকি দুই কাকা-খুড়ো স্থবির রয়েছে পুরো, আমি জেগে একা
বিভীষিকার প্রহর গুনি – এক. দুই.. তিন...


মাত্র দুমিনিট এগিয়ে সে বারোটা তো বাজে প্রতিদিনই!
হয় না সর্বনাশ, আজ তবে দুমিনিটে উঠেছে নাভিঃশ্বাস!
দিনে দুবার তো বাজছে বারোটা সদা-ই; ঘটে না প্রলয় কিছু
এখন সে মেনেছে হার, দুমিনিটেই ঘটেছে বিলয় জীবনপ্রবাহে তার।
একবার, দুবার, এভাবেই  - ক্রমে পাঁচবার শেষে
চেষ্টায় হয়েছি নিরত, দিয়েছি ক্ষান্ত আমার কুশেশ-ব্রত
বুঝেছি শক্তিকোষ হয়েছে নিঃশেষ তার;
আর কাঁটা নড়বে না, এগোবে না জানি এক পা’ও সে।


ঝেড়ে ফেলে অলসতা ইতি-উতি খুঁজি হোথা
নতুনের পাত্তা লাগাই; খুঁজে পাই নতুন দুখান।
হরষিত চিতে আমি, হৃদয়ে পরাই প্রেমি
চকিতে ভেলকি দেখি – এ কি;
এক্কা-দুক্কা খেলছে জ্যাঠা উঠে ফেরবার!
নতুনে পেয়েছে প্রাণ, চেয়ে দেখি অফুরান অক্ষিযুগল ছানাবড়া করি!


যত ভাবি ঘড়ির কথা, প্রাণে তত জাগে ব্যথা
হৃদয়ের টিক্ টিক্ একবার থামলে ঠিক –
ফেরবার আর যে গো জাগবে না তা।


- - - - - - - - - - - - -  - - - - - - - - - -
★ কবিতাটি 'সময়ের বাওকুড়ানি' (পৃষ্ঠা-৭৬) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।