শীর্ণ সুতোর রজ্জু ধরে তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে
যখন সময় নাঙা পায়ে আসল আমার উঠোন ‘পরে
বসতে দিলেম জলকমলের স্বপ্ন-আঁকা পিঁড়ি তারে
যগ-ডুমুরের বিলাস বায়ে, দোলাই চামর আলতো করে
যতন করে পরাতে যাই কনক জ্যোতির সাধের-শিকল।


হাসে সময় আলতো করে; বসার সুযোগ তার কি আছে
বিকাল বেলার ভাঙাহাটে যাবার যে তার তাগিদ আছে
আসার বেলায় নদীর বাঁকে হারায় সে সুর দূর পলাশে
হিজল-দুপুর সওদা নিয়ে ফিরতে হবে আপন নীড়ে
ব্যথা তারও কতই আছে আমার যেমন বাঞ্ছা আছে।


ঘুঘুর মায়ায় বুকের জ্বালা তার মনেও কম কি আছে?
লাল পলাশের হিজল-দুপুর সাঁঝের বেলায় যায় রাঙিয়ে
আয়েস করে একটু বসে ভাবনা করার সাধ্য যে নেই
কতই আব্দার কতজনার শুনতে যে হয় দিনে রাতে
তাতেই বেলা যায় গড়িয়ে কৈফিয়তের ভাবনা বাড়ে।
____________________
⭐ কবিতাটি "বাইনারি সুখের পিদিম" (পৃষ্ঠা-৫৮) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।