জান তো,
মানসিক রোগীকে যদি কেউ
তার স্বরূপটি বুঝতে দেয় - সে ক্ষেপে উঠে,
তখন তার কষ্ট অনেক বেড়ে যায়,
সে আরো দুর্বিনীত হয়ে উঠে।
আমিও তেমনি হয়ে উঠেছিলাম বোধহয়!


তোমাকে ভালোবাসার বদলে সব সময়ই ঈর্ষা করতাম, যা -
কালক্রমে বুঝি ঘৃণায়ই রূপ নিয়েছিল,
কিন্তু তোমাকে তা বুঝতে দিতাম না।
শেষাবধি তুমিও আমায় আর বুঝতে যেতে না।


তোমার ধাতব ভালোবাসার চৌম্বকিয় শক্তিতে
অনেককেই আকৃষ্ট হতে দেখে ঈর্ষায় জ্বলতাম।
অথচ আমার প্রতি যেন তা-ই রূপ পেয়েছিল অবজ্ঞা
কিংবা করুণার ভিন্ন আদলে।
তাই বুঝি দূরে সরে গেলেও আমায় মুছে ফেলনি,
সাজিয়ে নাওনি নিজেকে নতুন করে!
এই অবজ্ঞা কিংবা করুণা কি তবে
তোমার ভালোবাসারই অন্য ছবি?
কী জানি, স্থুল বোধে আমি -
এত সুক্ষ্ম বিষয় ধরতে পারি না কখনোই।


কেমন করে যেন দুষ্ট একটা ঘুণপোকা
বাসা বেঁধেছিল আমার মনে।
আর সে পরম নিষ্ঠায়
তার ধ্বংসলীলাটি নীরবেই সংগঠিত করে চলছিল -
আমি বুঝতে পারিনি। তুমি তো জানতে,
কোনকিছু গভীরভাবে তলিয়ে দেখার মত
চিন্তার গভীরতা কোন কালেই ছিল না আমার।


সকলই যখন হলো সারা;
রাগ-অভিমান, বাদ-বিসম্বাদ - তারপর ছুটি নিলে।
বড় অবেলায় প্রেমের আঠা জলো হয়ে গেল,
আমি ভেসে গেলাম বানের তোড়ে।


জীবনডিঙা ভাসিয়ে তুমি লাপাত্তা হলে,
আর আমি বানভাসি...
__________________________
টীকা -
এই পোস্টের সাথে সাথে শেষ হল 'বানভাসি হৃদয়ের কান্না'। বস্তুত, এটা ছিল ছোটগল্প। লিখা হলে দেখলাম কবিতার মত লাগছে! গল্প তো আর এই আসরে দেয়া যাবে না, তাই কবিতা আকারেই পোস্ট দিয়ে লেখাটাকে আর্কাইভ করে রাখলাম। ধন্যবাদ প্রিয় বন্ধুদের যারা কষ্ট করে লেখাটি পড়েছেন।