দুটি কৈফিয়ত:


* কবিরা গল্প লিখতে গেলে কি কবিতা হয়ে উঠে? একটা গল্প লিখতে চেয়েছিলাম - কবিতার মত লাগছে। তাই দশ পর্বে ভাগ করে এখানে দিচ্ছি।


* আসরে ইদানীং নতুন কবি এসেছেন অনেক। আমারও সময় কম অথচ নতুনদের উৎসাহিত করা উচিৎ। পাতায় যেটুকু সময় দিতে পারছি, আপাতত নতুনদের জন্য বরাদ্দ রাখছি, পুরনো বন্ধুদের কবিতা পড়লেও মন্তব্য দিচ্ছি না। তাই আপাতত আমার পাতার মন্তব্য বন্ধ রাখছি।
__________________________


বানভাসি হৃদয়ের কান্না-৬


ভালোবাসার মিঠেসুর
কালে-ক্রমে কঠোরতায় রূপ পেল।
প্রেম-রোমাঞ্চের কোমল ননীও যেন
কটা স্বাদের শক্ত এক ফাঁপা পানিরের রূপ নিল।


স্বপ্ন ভাঙ্গার দোষে একদা অভিযুক্তও হলাম।
আস্থার ভূমিটি তখন চৈতি খরার ফাটলে মুখ-ব্যাদান।
তুমি গান ছাড়লে, চিত্রকলা ত্যাগ করলে,
কবিতাকে নির্বাসনে পাঠালে।
আর এর সবই নাকি আমারই কারণে?


প্রেমের জন্যে শুনেছি,
প্রিয়তমকে ভালোবেসে মানুষ অসাধ্যকে সাধন করে,
রাজাও ছাড়তে পারে রাজ সিংহাসন।
আর তুমি কি-না ওইটুকুতেই নাচার হবে?
তা যে বিশ্বাসে আসতে চায়নি কখনো।
তাতেই আমার জেদ আরো গেল বেড়ে।


আস্তে আস্তে যখন সবকিছু ফিরিয়ে নিচ্ছিলে -
আস্থার মঞ্চটি আমার টলে টলে উঠছিল বারবার।
ক্ষোভে অপমানে হিতাহীত ভুলে গিয়েছিলাম,
নিজেকে মনে হত তোমার পথের কাঁটা।


প্রেমে ও সুখে, যে প্রাচুর্যতা একদিন দিয়েছিলে
সবই তার ফিরিয়ে নিলেও
মনের ব্যথা-স্মৃতিগুলো ঠিকই রয়ে গেল।
ফিরিয়েই নিবে যদি দিয়েছিলে কেন তবে?


পরিস্থিতির আকস্মিকতায় বিমূঢ় আমি রাগে,
ক্ষোভে-দুঃখে তখন স্ফুটনোন্মুখ।
হয়ে উঠলাম আরো দুর্বিনীত, আরো আগ্রাসী।
তাই তো, বিচ্ছিন্ন দ্বীপের নিঃসঙ্গ আশ্রিতের মতই
অনেকটা কাল বিভক্ত ছিলাম আরো।