দুটি কৈফিয়ত:


* কবিরা গল্প লিখতে গেলে কি কবিতা হয়ে উঠে? একটা গল্প লিখতে চেয়েছিলাম - কবিতার মত লাগছে। তাই দশ পর্বে ভাগ করে এখানে দিচ্ছি।


* আসরে ইদানীং নতুন কবি এসেছেন অনেক। আমারও সময় কম অথচ নতুনদের উৎসাহিত করা উচিৎ। পাতায় যেটুকু সময় দিতে পারছি, আপাতত নতুনদের জন্য বরাদ্দ রাখছি, পুরনো বন্ধুদের কবিতা পড়লেও মন্তব্য দিচ্ছি না। তাই আপাতত আমার পাতার মন্তব্য বন্ধ রাখছি।
__________________________


বানভাসি হৃদয়ের কান্না-৭


তোমার মুখে যেদিন শুনতে পেলাম;
'ভালোবাসতেও সুকোমল মন লাগে'
আর আমার মন না-কি চুন-সুরকির ঢালাই!
শোনে আমি রাগে-ক্ষোভে অন্ধ হয়ে গেলাম।


অপমানের জ্বালা হজম করতে কাজের ছল-ছুতোয়
তোমার সাহচার্য এড়িয়ে চলতে থাকলাম।
স্বভাবতই ডুবে থাকতাম নিত্যকর্মের অহেতুক ভিড়ে।
তাই একই বাড়িতে থেকেও আমরা হয়ে উঠলাম
দুই ভিন্ন জগতের বাসিন্দা।


পনেরটি বছর -
আমার চোখে ঘুম নেই, মনে শান্তি নেই।
নিজেকে ভাগ্যের হাতে সঁপে
নিঃসীম শূন্যতাকে বুকে নিয়ে বেঁচে আছি।
হাজারো ভিড় কোলাহলেও নিজেকে মনে হত বড় একা।
আজ বুঝতে পারি;
এতকাল তুমি আমার পাশেই ছিলে অথচ,
তোমার ছায়াটুকুও পড়েনি চেখে!


তোমার সৃষ্টিশীল মেধা আর চারিত্রিক গুণাবলীতে
কাউকে বিমুগ্ধ হতে দেখলে
কেন এত জ্বালা অনুভব করতাম জানি না!
তোমার সৃজনশীলতা আমায় দগ্ধ করত
অবজ্ঞা করার মতই।
আর ওই গাত্রদাহ জুড়াতে
কী এক কুক্ষণে যে একদিন বলে ফেলেছিলাম;
'তোমার অহংকারের মূল - তোমার মেধা আর সম্পদ।
তুমি অনেক চাঁদ আর চাঁদির মালিক,
সেই গর্বে তোমার পা পড়তে চায় না মাটিতে'।


একথা শোনে -
শুধু অসহায়ের মত বুক চাপড়ে ডুকরে কাঁদলে তুমি।
যদিও কোন গূঢ়ার্থে বলিনি তবু মিথ্যে বলব না,
এক সিংহপুরুষের অসহায় কান্নার দৃশ্যটা সেদিন
তাকে জব্দ করতে পারার ছেলেমানুষি তৃপ্তি দিয়েছিল আমায়।
হাস্যকর হলেও উপভোগ করেছিলাম বেশ।