দুটি কৈফিয়ত:


* কবিরা গল্প লিখতে গেলে কি কবিতা হয়ে উঠে? একটা গল্প লিখতে চেয়েছিলাম - কবিতার মত লাগছে। তাই দশ পর্বে ভাগ করে এখানে দিচ্ছি।


* আসরে ইদানীং নতুন কবি এসেছেন অনেক। আমারও সময় কম অথচ নতুনদের উৎসাহিত করা উচিৎ। পাতায় যেটুকু সময় দিতে পারছি, আপাতত নতুনদের জন্য বরাদ্দ রাখছি, পুরনো বন্ধুদের কবিতা পড়লেও মন্তব্য দিচ্ছি না। তাই আপাতত আমার পাতার মন্তব্য বন্ধ রাখছি।
__________________________


বানভাসি হৃদয়ের কান্না-৮


হায় স্বপ্নের চাঁদি;
যা ছিল আমার সুখ-ভোগের ঠিকানা,
আভিজাত্যের চাবি-কাঠি।
একটি মাত্র খোঁচায় এত দ্রুত পর হয়ে গেল?
তুমিই বলো,
এযুগে চাঁদ না হোক চাঁদি ছাড়া কি দুনিয়া চলে?


আমায় তুমি যত নির্বোধই ভাবো না কেন
আমি কি এতই বোকা? তুমি বুঝতে ভুল করেছ;
তোমার ওই চাঁদ এবং চাঁদির বৈভব কি
আমার কাছেও কম উপভোগ্য ছিল?
তবে সত্য বলতে কি,
ওসবের কাছে বরাবর নিজেকে
খুব নিস্প্রভ মনে হত আর ঈর্ষাটাও যেত বেড়ে।


তুমি কি বোঝতে পার না;
'টাকার গরমে অহংকারী'
বলাটা কি আর আমার মনের কথা ছিল?
নেহাতই তোমায় জব্দ করতে বলা।
অমন কত কথা তো তুমিও আমায় বলতে?
সত্যি বলছি, সেই প্রথম বারের মত
তোমায় জব্দ করতে পারায় মজাও পেয়েছিলাম বেশ।
কিন্তু তাতে যে করবী ফুলের বিষ লুকোনো ছিল
তা কি জানতাম তখনো?


ক্রমে তুমি আমায় ছেড়ে, চাঁদি ছেড়ে
শুধুই যে চাঁদের মোহে বিভোর হয়ে থাকবে
তা কি জানতাম?
শেষ পর্যন্ত তোমার কল্পনার চাঁদকেই
আমার প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে হত - সতীনের মতই লাগত।
জান তো, চাঁদের আসক্তি -
কোন দিনই ভাল লাগেনি আমার, এখনো না।
তোমার ওই ছন্দ-পতনের জন্যে আমি আর কতটা দায়ি?
যেমন বরাবর তুমি নিজের খেয়াল-খুশি মতই চল,
তোমার এ চলায় তো কখনো বাঁধ সাধিনি আমি !