দুটি কৈফিয়ত:


* কবিরা গল্প লিখতে গেলে কি কবিতা হয়ে উঠে? একটা গল্প লিখতে চেয়েছিলাম - কবিতার মত লাগছে। তাই দশ পর্বে ভাগ করে এখানে দিচ্ছি।


* আসরে ইদানীং নতুন কবি এসেছেন অনেক। আমারও সময় কম অথচ নতুনদের উৎসাহিত করা উচিৎ। পাতায় যেটুকু সময় দিতে পারছি, আপাতত নতুনদের জন্য বরাদ্দ রাখছি, পুরনো বন্ধুদের কবিতা পড়লেও মন্তব্য দিচ্ছি না। তাই আপাতত আমার পাতার মন্তব্য বন্ধ রাখছি।
__________________________


বানভাসি হৃদয়ের কান্না-৯


তোমার পাকা ধানে তো মই দিইনি কখনোই?
মনে হতো; ঘৃণা করছ আমায়,
যৌক্তিক অযৌক্তিক অনুচ্চারিত শব্দের নিরর্থক পঙ্ক্তিমালায়
বুঝি প্রতিনিয়তই অভিযুক্ত করছ আমাকে।
না-বলা কথায় যেন থাকত কত অভিযোগের ডালা,
সেই সাথে ড্যাম-কেয়ার মনোভাবে সুক্ষ্ণ অবজ্ঞার আভাস।


কোন কাজেই আর সহযোগিতা চাইতে না আমার
এমন কি,
রোগ-যন্ত্রণায় ডুবেও যখন আমাকে এড়িয়ে যেতে,
খুব অপমান বোধ করতাম আমি;
কিসের এত অহংকার তোমার?
তুমি না-হয় সবকিছুই পার,
তাই বলে আমার ইচ্ছা-কর্মে বাঁধ সাধার অধিকার
কে দিয়েছে তোমায়?
তাই রাগে-ক্ষোভে আরো অন্ধ হয়ে হতাম।


অপ্রেমের জ্বালাও কম দগ্ধ করতো না আমাকে।
প্রেম দিতে পারিনি বটে, নিইও তো নি!
যতই প্রেমিক পুরুষ বলে দাবি কর নিজেকে,
তোমার প্রেম আমায় স্পর্শ করেনি, ছুঁতে পারেনি।
তাহলে তার ছাপ পড়েনি কেন আমাতে?
কষ্ট হত খুব, শেষের দিকে নিজেকে হেয় মনে হত।
আমার প্রতি তোমার ওই নির্বিকারত্বে
অপমানিত বোধ করতাম নিজেকে।


কেউ বলেনি কোন দিন,
তুমিও বলনি মুখ ফোটে, তবু মনে হত -
আকারে ইঙ্গিতে আর তোমার বুদ্ধিদীপ্ত আচরণে
পরোক্ষভাবে আমাকে মানসিক রোগী বলেই বুঝি
প্রমাণ করতে চাইতে নিয়ত।