যে আলোর উৎসবে ছেয়ে আছে ঝরে যাওয়া বসন্তের দিনগুলো সব
তারুণ্যের প্রভা ফুটে থাকে যেথা; ঠোঁটে গ্রীবায় আর অনন্ত বিলাসে।
যোজন পথে আলোর রেখা যেমন তুলেছে আলেয়ার ঝিকিমিকি
এইখানে আসি নিঃসীম সায়রে ভাসি হারাই নিজেকে দীনবেশে।
মননে চেতনে সোহাগ যতনে শত অনুরাগে নিয়ত সুবাস ছড়ায়
ঘর হতে মাঠ, প্রান্তরজুড়ে আঁধারে হারাই নীরব যাতনা ক্লেশে।

যেসব উদোম জমিন রুপোলী রোদের ডানায় পড়ে আছে ঢাকা
যতনে পুঁতেছি বীজ; অঙ্কুরের দুঠোঁটে স্ফুট হাসি দেখব বলে
আশার পাঁজর ছুঁয়ে যেমন মানুষ সৃষ্টিতে বাঁচে; নিঃস্ব প্রত্যয়ে
প্রতীক্ষায় আছি সেই স্নিগ্ধ প্রভাতের আশায় - আজো নীলাচলে।
বেঁচে আছি ঢের ভাল, যাপিত সময়ের আঁচল জড়িয়েছি গায়
মায়ের মমতা, প্রিয়ার সোহাগ; বহমান নাব্য নদীর ঘোলাজলে।

সময়-নদীর বিমল ধারা ধুইয়ে মিলায় সম্ভাবনার চিরন্তনী রেখা
সান্ত্বনা খুঁজে ফেরা; জীবন নদীটি যদি বা নিঃশেষিত হয় নিয়ত
অনন্ত আঁধার - নিঃসীম কালের মাপে কখনো তা ফুরাবার নয়
বিস্মৃত সুধার অমিয় পরশ ছোঁয়াই প্রাণে তনুমন করি অবনত
স্পর্শসুখের সুরম্য কানন মন্দাকিনীর স্মিত-ধারায় ভাসে যে ছবি
অবনীর কোহেলিকা নয়; মলয় প্রবাহে জাগে সেই সুর অনাগত।


____________________
⭐কবিতাটি "বাইনারি সুখের পিদিম" (পৃষ্ঠা-৬৯) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।
🔯 কবিতাটি 'কাব্য কৌমুদী' (পৃষ্ঠা-১২) ২০১৬, কাব্য সংকলনে প্রকাশিত।