হায় আষাঢ়, হায় রে শ্রাবণ এ কোন পোড়া কাল
তোর ধারাতে হয় না রে কেউ এখন আর নাকাল।
ঝাঁ তকতক রাস্তাঘাটে নেই তো কাদা ও বৃষ্টি জল
উঠোন ঘেষে বানের ধারাও যায় না বয়ে অবিরল।


ইলশেগুড়ি বৃষ্টির কালে ছিল ইলিশ ধরার মচ্ছব
বৃষ্টি মানেই তখন হতো ইলিশ খাওযার উৎসব।
কাজের ছুতোয় সুখ মিলে না কালের ‘রেনি-ডে’তে
পোড়া-দেশে ঝাটকা কেন ‘খোকা’ও পাই না খেতে।


আর দেখি না পালতোলা নাও, শান্ত নদীর বাঁকে,
সন্ধ্যাকাশের চিত্রপটে পাখির ডানায় ছবি আঁকে।
ডাহুক ডাকা হিজল বনে মরাল-মিথুনে জলকেলি
নীড়ের টানে ফেরা পাখির কূজন রাঙানো হিঙ্গুলী।


পল্লী শোভাও হারিয়ে গেছে ইট পাথরের পলেস্ত্রারায়
খড়ের চালা রূপ পেয়েছে অত্যাধুনিক দালান কোঠায়
আর দেখি না বসতে কাউকে মাটির দাওয়াটি ঘিরে
চেয়ার পেতে বসতে পেরে ভুলে গেছি কাঠের পিঁড়ে।


ইট পাথরের রাস্তা ধরে কলের গাড়ির যাওয়া-আসা
চরিত্রে তার যায় না বোঝা পল্লী কি না নগর-বাসা।
বিজলী বাতির ঝলকেতে যায় না বোঝা রাত্রি দিন
আকাশে কেউ যায় না খুঁজতে রাত্রিটা কি জোছনাহীন?