কিছু বচন যেমন
থাকে অচেতন
কালের স্রোতে তা-ই হয়ে যায় প্রবচন।


না বলা ইতিহাস কিছু –
যদি হাওয়া পায়; বলে আমার কথা
কখনো তোমার - যদি পাতা উল্টায়।


কিছু কথা ব্যথাতুরে –
অস্ফুটই থেকে যায়
ধূলির কুয়াশা মুছে ফসিল জাগাতে তার!


মরচে ধরা ইতিহাসগুলো -
কখনো তোমার কখনো আমার
আবর্তন গতি ইতিহাস হলে, ইতিকথা মূর্ত হয়ে ফোটে!


ঝর্ণার রুপোলী কণা
তাত্পর্য আনে না বিশেষ
প্রপাতের শিরায় যদিও বিরহের অন্তঃস্রোত!


সভ্যতার নাগপাশে ঝুলে আছে
যে হেন আদিম জীবন
ইতিহাস ফুঁড়ে ক্ষণে ক্ষণে জেগে উঠে তায়!


চরাচর ব্যাপী জাগছে নিতুই
আদিম পিপাসা; দুর্নিবার তৃষা –
শিশ্ন বৃন্ত বগল নাভিকেন্দ্রে ধমনী ধারায়!


আজব দুনিয়া - আজগুবি চাহিদা
স্থান ভেদে নামায়ন;
কোথাও শোভন-রঙিন, ভিনগ্রহে কদাকার।


সভ্যতার ভাঙা-গড়া
নাকি
ভাঙা-গড়ার সভ্যতা
প্রশ্ন করা...
কেবল নগ্নস্রোতে ভেসে যাওয়া ...
কালের প্রবাহ ধরে!


- - - - - - - - - - - - -  - - - - - - - - - -
★ কবিতাটি 'সময়ের বাওকুড়ানি' (পৃষ্ঠা-৬৮) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।