স্বপ্নের ঘোরে এ কি নিঃসীম পরিভ্রমণ!
মেঘ-বালিকার জলছাপ আঁকি চোখের তারায়।
রাত জাগা পেঁচকের কন্ঠ চিরে ভেসে আসা ভূতুড়ে বাণী
চিত্তে জাগায় সচকিত অনুভবের বিচলিত দ্বিধা
রাতের সীমান্তে বিছানো অসহায় কালোছায়া দোলে।  


যদি কিছু আনন্দের খোঁজ মিলে যায় চেতনার তীরে
তিমিরে জাগাবো না বিষাদের সুর, কোনই উচ্চারণে
সাগর-সঙ্গমে হাঁটবো – ঝাউবন কি’বা পাইন সাথে নিয়ে।
বরিধি-রাশি, শঙ্খচিলের বিরামহীন উড়া-উড়ি, পান করে পুলক-রেণু
হিজলের ঘনবন শেওড়ার ঝোপ - ভাবলেশহীন, করে আছে চুপ।


সাগর বারিধি যদি ভাসায় আমার দু’চোখ প্লাবনে
অনন্তের মান্দাসে ভাসার এ বিরল মওকা কি করে হারাই?
তবু আমি ভুলবো না পটে আঁকা মেঘ-বালিকারে।
বিষাদ ভুলে খুঁজে নেবো সুখ অকূল পাথারে
শঙ্খচিলের সফেদ ডানায় বাঁধবো সুখের চাবি।


বিভীষিকার মৌন শিখা যদি কখনো টুটে
জাগবো না আমি, হয় তো আর প্রাণের পরশে,
হারাতে হবে কি না মোহে আঁকা মেঘ-বালিকারে!
প্রতিবেশে যদি, হয়ে যাই আঁধারে বিলীন
সন্ধিপত্রে সই করে হাঁটবো জীবনভর অজানার পথেই।
____________________
⭐কবিতাটি "বাইনারি সুখের পিদিম" (পৃষ্ঠা-১৫) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।