আপন দৃষ্টিকে করি অনুভবের সচকিত শাসন;
চাই প্রাচুর্যতা? সে তো সুখেরই উপকরণ!
সুখটাকে বানাবো বংশবদ দাস
প্রতিনিয়ত ছুটে যাই তার পিছু পিছু
ছুটছি যতই পাচ্ছি প্রেরণা প্রবল;
প্রাচুর্যতার বিলাস হচ্ছে করায়ত্ব
আর ক্রমেই সুখ যাচ্ছে নির্বাসনে!


হায়, কপালের বলিরেখা জুড়ে
লটকে আছে এ কোন অবিনাশী সময়!
এক একটি বছর গড়ায় আর
দায় তার বেড়ে ফুঁড়ে ঢোল হয়ে যায়
মহাকালের দেনায় সে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত
ইতিউতি চষেও দেখা নেই রোয়া উঠা কালের
অবিরাম খুঁজে ফেরে নিরাপদ পোতাশ্রয়।


অনন্তের হৃদয়ে জাগা এক বিক্ষুব্ধ ঢেউ
জানি না কী প্রশান্তির অভিলাষ
ভাসায় নিয়ত তার অশান্ত প্রহর
কালের বন্দর হতে প্রশান্ত নীলিমায়!
এই দফা-রফা নয় তবে শেষ বেচা-কেনা,
নয় ফায়সালা কোন বিধি বা কানুনের
আছাড়ি-পাছাড়ি কেবল বৈধব্য মলয়ের।


অদেখা নদী এক সময়ের প্রতিভূ
অনন্ত যাত্রায় সাথী তার আধপোড়া কাঠ
আত্মনিমগ্নতায় এ কেমন সুষুপ্তির জাগরণ
স্বতন্ত্র প্রচ্ছদে জুড়া প্রশান্তির কী নিগূঢ় প্রত্যাশা
মোহের আবেশে করে নিবিড় প্রত্যয়ণ
অতিন্দ্রিয় বিস্ময়ে ভরা অচেনা ঠিকানা
অযুত পলের সত বিস্মরণ!