অদৃশ্য হৃদয়খানি; শক্তি ধরে সে অসীম
ডিঙাতে পাহাড়, লাগে না পলক-প্রতীম।
পাতাল ফুঁড়ে সাগরে যেতে সময় তিলার্ধ
মনের অলিগলি ঘুরে সপ্তাকাশ হয়ে মর্ত;
খুঁজতে লাগে না সময়, চোখ রেখে বন্ধ
তাকিয়েও দেখে না সে, সদা কালা-অন্ধ।


কোন বনে পরিযায়ী, তারা খোঁ’জ আলো চাও,
ছিল কার সনে সখ্যতা, কোন চাকে মধু খাও?
কার বুকে জেগে থেকে, কোন ঘাটে বাঁধ নাও?
চোখ বুজে দেখ ভেবে, কী’বা পেতে কি হারাও!
কার আঁখি জলে ভাসে, ভাসছে কে সুখ-ভেলায়
কে আছে পাড়ে বসে, সতত তোমারই প্রতীক্ষায়?


কার হৃদে দিয়ে ফাঁকি, সুরভির কর অন্বেষণ
সব ভুলে আজ তবে, কাঁটাবনে কেন বিচরণ?  
যে কানন আমোদিত, যামিনীর ভরা জোছনায়  
কে আছে নির্বোধ হেন, জেগে থেকে ঘুম যায়?
কী সুখের প্রত্যাশায়, কনকাঁচলে জ্বেলেছ পিদিম
কী’বা সুখ পেয়েছ তবে, সুধাময় মনুষ্য প্রতীম?


বাঁধন-ছেঁড়া উদ্দামতায় হৃদয়ের সেই সে বরিষণ
জুড়ায় কি দহন-জ্বালা, শান্ত করে এই দেহ মন?
____________________
⭐ কবিতাটি "বাইনারি সুখের পিদিম" (পৃষ্ঠা-৪৩) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।