কতটুকু শোভন শীতের আশ্রয় পেয়েছি সেথায়
ভালবাসার পীটস্থান - ওই কবোষ্ণ বুকে?
স্মৃতির মণিকোঠায় টানি মাণিক্যের ইতি
খুঁজে খুঁজে হয়রান, ব্যথার বারিধি যায় ভেসে
দুঃখের গহন নদ বহে প্রত্যাশার অগোচরে।


স্মিতোধরে অফুটা হাসির রেখায় দেখেছি কবে
কবিতার সামিয়ানা তোমার কৌমুদ বন্যায়।
স্মৃতির চিলেকোঠায় বসে খুঁজেছি যে ছবি
তা কি হৃদয় মন্দিরে বাঁধাই, পাথরে খোদাই,
না - রয়েছে তোমার নিখিলে আঁকা?


আজো পাইনি সেই সে ঠিকানা অপার-
এক ফালি স্বপ্ন মোর হারালো যে প্রপাতে
ঘূর্ণাবর্তে সেথা স্বপ্নসুখ হয়েছে বিলীন
কালের দুর্বিপাকে দেখিনি সে ছায়া
ধরতে গেলে না-যায় ধরা, ছুঁতে গেলে ছোঁয়া!


অরিহমন্ত্র বাজে ঘুমঘোর তন্দ্রা মাঝে  
সে কি মায়া, না কি কুহেলিকা ছায়া।
কামনার গুপ্ত বলয় যদি – ইথারে হারায়
সুপ্ত আশা তীর খুঁজে না পায়, সঞ্চারী সুর
অন্তরে বাঁধি হবো গো চপলা নদী।


কালের আদম-হাওয়া স্বপ্নে দেখে নীড়
বাস্তবের আকাশপটে যা ছিলো অলীক
শূন্যতার চাদরে মোড়া স্নিগ্ধতার আভায়
অশ্লেষ আয়েসে বুনে প্রশান্ত ভুবন
সায়াহ্নের ঠিকানায়, বিস্তৃত মল্লিকা দলে।


- - - - - - - - - - - - -  - - - - - - - - - -
★ কবিতাটি 'সময়ের বাওকুড়ানি' (পৃষ্ঠা-৫৩) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।