কাঁচা জল আঁচে পুড়ে
হৃদয় আড়াল করে কথা কয় ঠারে ঠুরে
উদাসী পথিকবর - পবন পাবক;
ছন্নছাড়া ছন্দহীন নিঃসীমের ঘোর পলাতক।


যদি না-ই ভালোবাসে তবে অধরে চিবুকে
কেন এতো ছলাকলা - বাসনার ভাসাতে ভেলা।
নিগূঢ় তিয়াসে যে আঁখিতারা
কাঁপে ছলনার অভিঘাতে
লুকিয়ে বেদনা ঢাকবে কী এষণা
যে বাঁশীর সুর প্রাণেতে দেয় না দোলা!


মন খারাপের ক্ষণে
তুমিও কি আমার মতই ত্রাসের ভূষণ পর?
তপ্ত বায়ের হতাশ ব্যাজন
রুদ্ধ বোধের ভগ্ন দ্বারে খেদের আগল তোল?
যার লাগি মন অহর্নিশি
পোড়ায় প্রহর দিবানিশি
সেই যে কেমন ব্যথার জ্বালা বুঝতে কিছু পার?


ওরা স্বার্থান্বেষী, বর্ণচোর ওরা
আলেয়ার বেশে থাকে দেয় না কখনো ধরা।
স্বার্থের খোলতাই বর্ণের আভা
গিরগিটি রঙ ধারণ করে যতই লুকোক ওরা
বিসর্গ তো নয়ই, থাকুক বিন্দু -
কেউ না চিনুক ওদের, কিন্তু;
ঠিক চেনে নেয় নিষিক্ত সন্ধ্যার ওই ধ্রুবতারা।