সমৃদ্ধির গলি –


জীবন যেন বা বন্যা তাড়িত ঘুঘু
প্লাবন জলে আশার কদলী ভেলা
বাস্তুচ্যুতের করুণ আর্তি, দিশেহারা চোখে
‘রেডক্রস’ কি’বা ‘ক্রিসেন্টে’র ত্রাণসেবী ব্যাগ;
বন্দি হেথা ক্ষুধার রুটি, পোকারিয়া বিস্কুট,
মাইফাঁটা মায়ের সান্ত্বনা – নষ্ট গুড়োদুধ,
‘ডেটল’ ‘আয়োডিনে’ ভেজা আহাজারী শোক
তবু সে জীবন দে’খ সমৃদ্ধির গলি খোঁজে!


প্রসূতির বেদনা –


জীবন তত্ত্ব, জীবন ফানুস
জীবন যেন বা সহজাত প্রেরণার সযত্ন মাঠ
সোনালী ফসল ফলাবার স্বপ্ন
জীবন আমার বীজধ্বংসী পোকার রসুই
চাষীর বংশানুক্রমিক মহাজনী ঋণ
জীবনঃ প্রসূতির বেদনা, ‘দ্য ভিঞ্চি’র ‘মোনালিসা’
তবুও জীবন যেন -
উত্সমুখে জেগে থাকা অনির্বাণ শিখা!
-------------------------------


** আমার দৃষ্টিতে বারবার নানান আঙ্গিকে দেখা জীবনকে কবিতায় তুলে ধরতে গিয়ে কবিতাটি অনেক বড় হয়ে গেছে। কবিতাটি ১৯৮৮ সনে লেখা; পাঠকের ধৈর্যের কথা বিবেচনা করে (নতুনভাবে সম্পাদনা ছাড়াই) পর্যায়ক্রমে দু'টি করে স্তবকের পোস্ট দেয়া হচ্ছে। কোন স্তবকে পূর্ণ ভাব প্রকাশ না পেলে অনুবর্তী অংশে সেই ভাবটি খোলাসা হবে - আশা করছি। ধন্যবাদ।