স্নিগ্ধ মলয় –


জীবন; কুয়াশা ভেজা শীতের সকাল,
কচি পাতায় জমে থাকা
মৃদু পরশে ঝরে পড়া শিশির বিন্দু,
নিঃশেষিত বিড়ির সুখটান,
ভাটার টানে উজান চলার কসরত,
ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ আঁধার রাতের আলো,
ভোরের সোনালী প্রভাত, স্নিগ্ধ মলয়,
সুরেলা পাখির কলতান গীতি।


শূন্য পেয়ালা –


জীবন যেন বা শূন্য পেয়ালা;
পরিপূর্ণতায় সে সুখের অমৃত,
নয় দুঃখবহ গরল - যে বা যা’ পায় ভাগে।
পূর্ণতার আশায় মত্ত জীবন;
হামাগুড়ি দিয়ে চলা
ক্ষুদে শিশুর অক্ষম প্রচেষ্টা,
এক খন্ড ধাবমান বাদলে রোদ,
পূর্ণ করা - সুখের অমৃতে নয় বিষাদ গরলে।


-------------------------------
** আমার দৃষ্টিতে বারবার নানান আঙ্গিকে দেখা জীবনকে কবিতায় তুলে ধরতে গিয়ে কবিতাটি অনেক বড় হয়ে গেছে। কবিতাটি ১৯৮৮ সনে লেখা; পাঠকের ধৈর্যের কথা বিবেচনা করে (নতুনভাবে সম্পাদনা ছাড়াই) পর্যায়ক্রমে দু'টি করে স্তবকের পোস্ট দেয়া হচ্ছে। কোন স্তবকে পূর্ণ ভাব প্রকাশ না পেলে অনুবর্তী অংশে সেই ভাবটি খোলাসা হবে - আশা করছি। ধন্যবাদ।