শতাব্দীর চিলেকোঠায় তোমায় দেখেছি যেদিন;
বিষম খেলাম ভারি! ব্যথায় না বিস্ময়ে, তা নিরূপণ করতে পারি নি!
এ কি সেই বীথি! আমার বীথিকাই আজকের বৃক্ষ?
হ্যাঁ, বট-বৃক্ষই বটে; আছে তার অগুনতি ঝুরি,
মূল আর কান্ড-শাখা-প্রশাখার জটাজুটে আচ্ছন্ন অতিকায় বৃক্ষকুঞ্জ!
তেলতেলে মসৃণ বেতস পাতার পরিপাটি শোভিত সেই বীথি!


এক দঙ্গল নায়-নাতকুরের মাঝে আলুথালু বেশে গরবিনী দাদী-নানী রূপ;
ঘেমে নেয়ে সারা। ঘর-দোর সামলাতে ক্লান্ত –
তবু আমায় বিশ্বাস করতেই হচ্ছে?


এ্‌ই কি তোমার মেয়ে? দেখতে ঠিক তোমারই মতো!
শুধু রঙটুকু ছাড়া মা-মেয়ের প্রভেদ বুঝতে পারি নি।
আমার যে বয়েস হয়েছে তা আমলেই নেই! বাম কনুই’র নীচে দেখছি -
ধান ক্ষেতের ভিতর কাদার বাঁধের মতই উঁচু কাটা দাগ;
জ্বলজ্বল করে যেন আমায় ব্যঙ্গ করছে!
আর ওতেই মা-মেয়ের মধ্যকার প্রভেদটিরও মীমাংসা হ’ল!


কমলা দিঘির টলমলে চোখে একটু হাসলে শুধু -
তা কি তাচ্ছিল্য না স্বস্তি তাও বুঝি নি!
এতকাল বোধটাই ছিল ক্ষীণ, এখন বুঝি দৃষ্টিও!
--------------------------------------
** বন্ধুরা শুভেচ্ছা নিন। কয়েক পর্বে ভাগ করা কবিতাটা বেশ বড়। পাঠকের ধৈর্যের কথা বিবেচনায় ভাগে ভাগে পোস্ট দিচ্ছি। এক একটা পর্ব তার স্বকীয়তা নিয়ে একটা পূর্ণ কবিতা তবে, পরবর্তী পর্বের ধারাবহিকতার শেষে পাবেন দু’টি জীবনের পূর্ণ উপাখ্যান। ধারাবাহিক পর্বগুলো পড়লে পূর্ণ আলেখ্যটি স্পষ্ট হবে। ধন্যবাদ।