দেখতে পাচ্ছি; বাগান পুকুরের পূব পাড়ে,
বৈচী ফলের থোকা হাতে তুমি !
জানতাম; ও দিয়ে মালা বানিয়ে আমাকেই দিবে
তবু তোমার সাথে আড়াআড়ি না করলে যে সুখ হয়না
তাই, ফলগুলো ছিনিয়ে নিতে তোমায় পিছু ধাওয়া করলাম!
তোমার ভয় ছিল;
ধরা পড়লে ফলগুলো না আমি নষ্ট করে দিই!
প্রাণপণে আমায় এড়িয়ে যেতে যেই না চক্কর খেলে –
অমনি নিপতিত হলে পুকুরের খাদে!


বাম কনুই’র নীচে ভাঙা কাঁচের গভীর ক্ষত,
অনেক রক্তক্ষরণ হ'ল! রক্ত থামাতে আমার বৃথা কুশেশ –
ঠোঁট চেপে ধরলাম ক্ষতস্থানে!
নোনা রক্তের স্বাদমুখে জীবনের প্রথম চুম্বন!
আনন্দ না বেদনায় - তুমি নীল হলে, পুলকিত আমি!
নোনারক্ত মুখে তোমার মিষ্টিঘ্রাণ আর
ঘাড়ে নিঃসৃত শ্বাসের উষ্ণ শিহরণ
আমায় এক ভিন্ন মাদকতার পরশ দি’ল!
আর তা ই আমার জীবনের প্রথম ও শেষ উপাসনা!


কচি দূর্বাঘাস চিবিয়ে রক্ত বন্ধের বৃথা প্রয়াস।
যত না রক্তপাত বন্ধ করা তারও বেশি লোলুপ তৃষ্ণা!
শেষমেষ ডাক্তার কাকা এসে বাঁচালেন!
বাড়িতে সবার অস্থির প্রশ্নমালা সেদিন তুমি
নির্বেকার ভাবেই এড়িয়ে গেলে -
কাউকেই বললে না আমার অপরাধের কথা!
তা কি করুণায় না ভালবাসায় –
সেদিন যেমন বুঝি নি,
আজো বুঝতে পারি না বীথি!
------------------------------
** বন্ধুরা শুভেচ্ছা নিন। কয়েক পর্বে ভাগ করা কবিতাটা বেশ বড়। পাঠকের ধৈর্যের কথা বিবেচনায় ভাগে ভাগে পোস্ট দিচ্ছি। এক একটা পর্ব তার স্বকীয়তা নিয়ে একটা পূর্ণ কবিতা তবে, পরবর্তী পর্বের ধারাবহিকতার শেষে পাবেন দু’টি জীবনের পূর্ণ উপাখ্যান। ধারাবাহিক পর্বগুলো পড়লে পূর্ণ আলেখ্যটি স্পষ্ট হবে। ধন্যবাদ।