উদ্ধৃতি - “ভালোবাসার ঔদার্য মানুষকে পূর্ণ করে
       আর দুঃখের দৈন্যতা তাকে নিঃস্ব করে”।


ভালোবাসার ঔদার্য এমনই প্রাচুর্যময়;
যে পাত্রে করো ভাগ যত খুশি তাকে,
ভগ্নাবশেষ এর - হয় না কভু শেষ
দানে দানেতে হয় আরো ঐশ্বর্যময়।
অমূল্য ভালোবাসার দ্বারে আগল তুলে তাই
মানবাত্মার মৃত্যুকে ডাকা তো কাম্য নয়।


আর, এমনই দৈন্যতা দুঃখের;
ভাগ করা চলে না যত্র-তত্র তাকে।
অপাত্রে করলে ভাগ - ক্ষতি অনিবার্য;
যথার্থ পাত্র হলে, দুঃখের সম্ভারও
নিঃশেষ হতে লাগে না সময় -
ভাগে ভাগেতে তা-ও যে নিঃশেষিত হয়!


রুদ্ধ ভাবাবেগ, স্থবির চিন্তা –
মনোদৈহিক মৃত্যুরই কারণ
দুঃখের মজুত কমাতে তাই
বোঝা এর হালকা হওয়া চাই।
আবেগ চিন্তার মুক্ততাই জেনো;
মনোদৈহিক সুস্থতার জিয়ন-কাঠি।


জটিলতা জীবনাচারে অস্বাচ্ছন্দ্যময়,
সহজতাই পারে কেবল গতি দিতে তায় ।
গতিময়তাই জীবন বিকাশের চাবি;
নিথর জীবনে গতি ফিরাতে তাই
সহজতার চাবিতেই দম দিতে হয়।


পরিমিতির অভাবও আবার জীবনকে
দেউলিয়া করে দিতে পারে।
জীবনাচারে তাই চাই স্থিতি, পরিমিতি,
কুশল-কলা, নির্ণয়ে যে গো পটু যত
জীবন হবে জেনো শুভ তত তার।


- - - - - - - - - - - - -  - - - - - - - - - -
★ কবিতাটি 'স্বপ্ন কাজল' (পৃষ্ঠা-৬২) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।