শূন্য হৃদয় পূর্ণ কর সাকি,
আকন্ঠ পিপাসার কারাগার ভেঙে
বিছিয়ে দাও সেথা অঞ্চলস্থিত মদিরাম্বু।
মেঘে-মেঘে ঢেকে যাক বেনিয়া রোদ্দুর
কোণে কোণে বিম্বিত আভা
চূর্ণ-বিচূর্ণকারী - আত্মার সজীবতা।


চৈতি মেঘের বালিয়াড়ি উড়াও;
দুঃসহ যাতনার অভ্রচূর্ণ নত হোক ভূমে
পাতার বাঁশি আর না ই বাজালো শিশু...
... মেলা ভাঙলো শিখণ্ডী ধুলোর জালে
প্রাণ নিয়ে কাড়াকড়ি, সব সাধ ভুলে
সবাই ছুটে নিরাপত্তার আড়াল খুঁজে...


যখন সময় হবে সূর্যও সুলভ হবে
থামবে ঝড় - চেতনা ও ভূমে
ধুলো মুছে সবাই ভাবতে বসবে;
কেন এমন হলো - পাতার বাঁশি
শিশুর ঠোঁট থেকে কেড়ে না নিলে
কী এমন ক্ষতি হতো কার?


সান্ত্বনার বাতাস আশ্বাসের ফুঁ দেয়;
“সময় তা’ শোধরে নেবে”
কেবল মা ই জানে - ‘তা কখনো হবার নয়’


অতঃপর;
পূর্বাপর বিক্ষিপ্ত জিজ্ঞাসা...
ঠাঁই পাবে তে-মাথার
চা-দোকানের সরব আড্ডায়
কিন্তু বাঁশি বাজানো পেলব ঠোঁট দু’টি
কাঁপবে না আর।


ফের বছর, আবারো উঠবে ভরে মেলা প্রাঙ্গণ
ধুলো-উড়া সরব কোলাহলে, সবই আছে -
পতার বাঁশি ঝুনঝুনি গয়না পুতুল মিঠাই ফেরী
স-ব ঠিক আগেরই মতোন
থাকবে সবাই রত জীবনের সরেস কাব্য রচনায়
কেবল ঠোঁট দুখানা জানি খেলবে না তো আর!


- - - - - - - - - - - - -  - - - - - - - - - -
★ কবিতাটি 'স্বপ্ন কাজল' (পৃষ্ঠা-৩৩) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।