সীমার মাঝে অসীম যখন রোদের ছায়া
কত মেঘ ধায় ছুটে ওই কণ্ঠতালু ছুঁয়েই
আলোছায়া নু'য়ে পড়ে কবিতার সন্নিধানে।
আর ফুলের নির্যাস থেকে চুঁইয়ে পড়ে
চনমনে ভালোবাসার সুগন্ধি প্রলেপ।


লুপ্ত-সাগর অলখে ডুবে প্রাশান্তিকার নিবিড় পরশে
যে মায়ার আচ্ছাদনে পাখা মেলা অসারতা জ্যোতি
অথৈ সরসী নীরে নিত্য বাঁধা ঘর...
নির্ণিমেষ আসা-যাওয়ায় ক্লান্ত নাবিক-সুখ
লুটায় ধূলার ‘পর, গড়ে বিষম আস্তর
দুর্বিনীত সময়-প্রচ্ছদে আঁকা ভাবনার সেতুগুলো
পাড়ি দিই দিবাশেষে কায়-ক্লেশে ।


আজ নীলগিরি বিভায় জাগি নিত্য অলসতায়
মরু-কানন গড়ে তুলি তপ্ত বালুকার চরেই
মুখরা সুখের ইচ্ছেগুলো যায় যদি যাক পুচ্ছ নেড়ে
থাক না জুড়ে কাব্য-বাথান শান্ত নদীর স্নিগ্ধ জলে
ব্যস্ত-বাগিস নীল সীমানায় অস্তরাগে জ্বালিয়ে রবি
আমলকি সুখ বৃন্দাবনে থাকবে জেগে দিবানিশি।


ব্যস্ত নদীর দুই কিনারে – আধখানা সুখ রিক্ত দুপুর
বাঁশরীয়ার বাঁশীর ফুঁ-তে সুরটি গাঁথুক আপন বিভায়
ছলকে ওঠা নদীর জলে বৈঠা আঘাত হানলে পরে
বৈরাগী মন ওই চালাতে আখড়া গড়ে আপন মনেন
বাউল গীতের উদাস দুপুর যায় গেয়ে সেই আধখানা সুর
দূর অচেনায় ঝলমলিয়ে ভাসছে সেই গীতির মায়া
তখন নদীর পাড়ে বটের ছায়ে; পান্থজনের ক্লান্ত চরণ।


আম্র বীথির কুঞ্জতলে ধান শালিকের রাঙা পা'
গুটি গুটি এগিয়ে আসে সুখ দিবসের সাতকাহনে
সুখ প্রতিভাস জীবন ডোরে গাঁথো নাহয় সব ভুলে আজ
ছন্দহারা এই সময়ের বাঁধন ছিড়ে, ছিড়ুক নাহয়
বাউলের একতারাতে চর্চিত হোক সুরের শাসন
মঙ্গল পিপাসায় করবো পান আজ অমৃত বোধন।