ভাবের পাখি ছড়িয়ে আছে কবিতার পাতায় পাতায়
বড় বেশি বিমূর্ত লাগে; কিছুই যে বুঝি না হায়।
ও-পাতায় দেখি নান্দনিক রূপ-বিভায় ফুটেছে কথা
অন্যখানে হীরের দ্যুতি ঝলসে যায় চোখের পাতা।


কাল যুগ মাস ছুঁয়ে যায় মুহূর্তটা অনন্ত বলয়কে ঘিরে
মায়ার আবেশ থাক না জীবনের রক্তিম সীমান্ত জুড়ে
অন্ধকারের জঠর ছেপে যামিনী পাতে মায়ার ফাঁদ
আঁখি ঠারে মুগ্ধ বিভাস দেয় উপহার একফালি চাঁদ।


নিত্য দিনের অনিত্য আয়েস সুখ-সুধা হাসি-গান
নিয়তি বেঁধে রাখছে গেঁথে, তায় নেই কিছু মহিয়ান
কবিতার মোহিনী রূপ সদা অমলিন চির জাগরুক
আঁধার রাতের তারা খসে স্মৃতির আকাশটা পুড়ুক।


ইচ্ছে তো হয় পাখনা মেলি কাব্য রথের লাগাম ধরি
পান্থজনের ক্লান্ত চরণ, বিন্দু রেখায় সচল করি।
আটপৌরে জীবনে করি যাপনের নিত্য কসরত
ভাল লাগে কবিতার ডানা অনিন্দ্য সে পারাবত।


বরফ দেশের প্রজাপতি বসবে হৃদয় ফুলে
রিক্ত হিয়া ভরবে জানি উঠবে তবেই দুলে।
প্রিয়া মোর কুহকিনী থাক না খানিক আড়ালে
ক্ষতি কি মোর সিক্ত হৃদয় যায় যদি সে দলে!