শ্রাবণ চাঁদের ঘোলাটে আলোয় দীপ্তি-প্রভার আকাল
দেয় না ধরা বোধের আকর বিষণ্ণ অধর মূলে -
কারা হাসে গায়, সমীরণে ভেসে বেড়ায়, আর
নিদ্রোত্থিত স্বপ্নের বাসরে জাগে নিশি-ভোর
ভরসার বাতায়নে বরষা নামে নেশায় বেভুল।


এক বিপন্ন আকাশ এই বিষণ্ণ বেলায় কেন
অঝোরে কাঁদে, চরণচিহ্ন আঁকে চপলা ভাদুরে নদী
ইথারে কম্পন জাগে – হাসে, কথা কয় ঠারে?
শোকে-সুখে কাব্য গড়ে, মিলেমিশে গড়ে তোলে
চিত্ত কাঁপানো তিক্ত-সুখের বিমলা ছবি।


শারদ প্রভাতে পেঁজামেঘ ফুঁড়ে ফুটলে আলোর কণা
চন্দ্রালোকের মৃদু করাঘাতে তুলবে ছন্দ নির্ঝরিণী
বেভুল শ্রাবণ কাঁদে, বিরহে জাগায় সর্বনাশা প্লাবন
ভাদরের অলিন্দ ছুঁয়ে তৃষ্ণা-বিলাসের বিরহে ভাসে
আনমনে ডুকরে জুড়ে অঝোরে রোদন!

বেরসিক ভাদুরে মাতম খরধারায় হানে শ্রাবণের বান
বিদিশা নিশানার জলধারায় তবু কাটে রাত
শিউলি শেফালির হাসি ফোটে না শারদীয় প্রাতে
এখনো কদম লুকোচুরি খেলে পাতার আঁচল জুড়ে
পূর্ণসরসে মন্ডুকদলে অভিসার চলে অবিরাম!


অবেলার ঘোলাজলে তীরে বসে আজো
কী দুঃখে কাঁদো তুমি ভাদুরে প্লাবন!
এপারেতে হাজারী বাগ যায় জলে ভেসে
ওপারে বি.বি.ডি বাগ শুনি
বিনিজলে দুঃখঘামে হাঁসফাঁস জ্বলে।
---------------------------------------------
কিছুদিন আগে – অকাল ভাদরে যখন বেমক্কা শ্রাবণের ধারা বইছিল তখন প্রকৃতির খামখেয়ালী দেখে কবিতাটি লিখেছিলাম কিন্তু পোস্ট করা হয় নি। আবহটা পার হয়ে গেছে। লেখাটা এখন ব্যাক-ডেটেড হয়ে গেলেও রেকর্ড রাখার স্বার্থে পোস্ট দিলাম।