(একটি শিশুতোষ কাব্য)


ঠাক'মা বলেন; বাছা আমার লিখে চমত্কার
নাক বোঁচা টেপি বলে; লিখলেই হল, ভাবের কী দরকার?
বাবা কিন্তু দুই চোখে তার দেখতে পায় না কাব্য
মায়ের দাবি আমার জাদুর কবিতা সুখ-শ্রাব্য!


বন্ধু বলে; আধ-পাগলাটার কাণ্ড বোঝা ভার
ছন্নছাড়ার ভাবের ঠেলায় জীবনটাই জেরবার।
পড়শিরা কয় এই ছেলেটা বখেই গেছে এবার
কাব্য শোনে মাস্টার মশাই হেসেই জার-জার।


কাকা আবার বেজায় রসিক নাক ঘষে খায় পান
চুন খয়েরটা বখরা না পেলে কান ধরে দেয় টান।
মুদি কাকুর নাতিন আবার কবির যে খুব ভক্ত
ওর কথাটা না লিখলে সে তুলবে মাথায় রক্ত।


অন্তু বলে; এ কবিতায় তার কথাটাও থাকা কিন্তু চাই
নিতুর দাবি তাকে বাদ দিয়ে কিছু লেখার উপায় নাই।
বসির আবার হুমকি ঝারে; তার কথা না লিখলে
ভাগ পাবে না বড়শিতে আর থাকবে ওর দখলে।


কবি এখন কার দলে যায় কার চরকাতে তেল ঢালে?
কবির মাথা ঘুরতে থাকে সবার মর্জির তাল-বেতালে
দিন ফুরালে সাঁঝের বেলায় যখন ঘরে ফিরে
তালে-গোলের গণ্ডগোলে মাথার চুল সে ছিঁড়ে।